বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (২ মার্চ) দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের পক্ষ থেকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিএসইসির সহকারী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মোহাইমিনুল হক কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুদকের কাছে কিছু অভিযোগ ছিল। সেসব অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তারা এসেছেন।
জানা গেছে, বিএসইসি থেকে আইপিও অনুমোদন সংক্রান্ত বিষয়ে কোম্পানির আবেদনের তালিকা, তাদের দাখিলকৃত প্রসপেক্টাস, নিরীক্ষা রিপোর্ট ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য ডকুমেন্টস এবং চূড়ান্ত অনুমোদন তালিকা যাচাই করা হয়।
দুদকের অভিযানে জানা যায়, কোম্পানির দাখিলকৃত ফেব্রিকেটেড আয় ও সম্পদ বিবরণী ও উইন্ডো ড্রেসিংয়ের মাধ্যমে তৈরিকৃত ব্যালেন্স শিটের বিপরীতে আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অনেকক্ষেত্রে ডিএসইর সুপারিশ ও অবজারভেশন বিবেচনা করা হয়নি- যা ব্যাপক অনিয়মের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে।
এ ছাড়া প্রাইভেট প্লেসমেন্ট জালিয়াতি ও বাণিজ্য, অধিকমূল্যে শেয়ার প্রাইস নিয়ে মার্কেটে প্রবেশ ও অল্প সময়ে শেয়ার বিক্রয়, প্রাইসের দ্রুত অবনমননের প্রেক্ষিতে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি মর্মে টিমের কাছে পরিলক্ষিত হয়েছে।
দুদক টিম আরও প্রত্যক্ষ করে, দুর্বল কোম্পানিগুলোকে অবৈধভাবে অনুমোদন দেওয়ায় ক্যাপিটাল মার্কেট প্রবেশের অল্পদিনেই তাদের লো পারফর্মিং কোম্পানি হিসেবে জেড ক্যাটেগরি ভুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া জালিয়াতির মাধ্যমে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ড কর্তৃক প্রস্তুতকৃত উইন্ডো ড্রেসড ব্যালান্স শিট ও ফ্রেব্রিকেটেড আর্নিং রিপোর্ট ও ইস্যু ম্যানেজার কর্তৃক তৈরিকৃত ওভারভ্যালুড কোম্পানি প্রোফাইলের প্রেক্ষিতে অনিয়মের আশ্রয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক আইপিও এর অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে মর্মে টিমের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।
প্রাপ্ত অনিয়মগুলোর বিষয়ে টিম কর্তৃক প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক কমিশন বরাবর একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলেও জানানো হয়।
মন্তব্য করুন