অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। কালবৈশাখী ও ঝড়-বৃষ্টির কারণে এপ্রিল থেকে জুন নির্বাচন আয়োজনের জন্য এতটা উপযোগী না।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নিয়ে কিন্তু অনেকবার কথা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা, অন্যান্য উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তী সরকারের অনেকেই এটা নিয়ে কথা বলেছেন। প্রধান উপদেষ্টা আগে দুইটা ডেট বলেছিলেন, একটা হচ্ছে ডিসেম্বরের মধ্যে ইলেকশন যদি রাজনৈতিক দলগুলো কম রিফর্ম চায়। আর যদি তারা চান আমরা আরও কিছুদিন থাকি তাহলে উনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছিলেন (আগামী বছরের) প্রথমার্ধে হবে। কিন্তু এখানে প্র্যাকটিক্যাল একটা ইস্যু হচ্ছে, এপ্রিল মাসের থেকে কালবৈশাখী ও ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। জুনে আবার মনসুন (বর্ষাকাল) শুরু হয়ে যায়। ফলে ওই ৩টা মাস আসলে ইলেকশনের জন্য অতটা উপযোগী না। সেজন্য আমাদের ধারণা ইলেকশন হয় ডিসেম্বরের মধ্যে হবে, নতুবা ম্যাক্সিমাম মার্চের মধ্যে।
আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন না জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা অন্তর্বর্তী সরকার দেখবে। এটা উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত। এখনো এ বিষয়ে কোনো আলাপ হয়নি উপদেষ্টাদের মিটিংয়ে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সুপারিশ করেছিল স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন।
প্রেস সচিবের ভাষ্য, বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের বিরোধিতা করলেও অনেক দলই এটার পক্ষে আছে।
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনকে কেন্দ্র করে তথ্য উপদেষ্টা নাইদ ইসলাম উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন আছে। এ বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, এখনো পর্যন্ত তথ্য উপদেষ্টা পদত্যাগ করেননি। বাকিটা ওনার বিষয়। আমরা এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
মন্তব্য করুন