বসন্তের আগমনে প্রকৃতি যখন ব্যস্ত ঠিক তখনি দেশের বিভিন্ন বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ বিষয়ক একটি পোস্ট করেন তিনি।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার পর থেকে দুপুর ১টার মধ্যে বরিশাল বিভাগের সব জেলার উপর দিয়ে বজ্রপাতসহ হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাত অতিক্রম করার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
একই সময়ে খুলনা বিভাগের খুলনা ও বাগেরহাট জেলার উপর দিয়েও বজ্রপাতসহ হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাত অতিক্রম করতে যাচ্ছে।’
এদিন আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা স্বাক্ষরিত ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এ অবস্থায় বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রংপুর ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রংপুর ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আগামী ৫ দিনে আবহাওয়া পরিবর্তনের উল্লেখযোগ্য কোনো সম্ভাবনা নেই।
মন্তব্য করুন