কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যুবকদের জন্য সর্বজনীন সামরিক প্রশিক্ষণ চান ডিসিরা

জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ। ছবি : সংগৃহীত
জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ। ছবি : সংগৃহীত

যুব সমাজের জন্য সর্বজনীন সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। তারা বলছেন, যাতে দেশের প্রতিরক্ষায় যুব সমাজ মিলিটারি ট্রেনিং পেতে পারেন এবং দেশের প্রতিরক্ষায় তারা অংশ নিতে পারেন।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ সংক্রান্ত অধিবেশনে তারা এ প্রস্তাব দেন।

অধিবেশন শেষে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

অরিয়েন্টেশন নিয়ে তিনি বলেন, ‘সিভিল মিলিটারি কো-অপারেশন কীভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকরা প্রশ্ন করেছিলেন। সিভিল প্রশাসনের অফিসাররা যে অরিয়েন্টেশন করেন, ডিভিশন পর্যায়ে এই অরিয়েন্টেশনগুলা করা সম্ভব কি না? যাতে সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে সামরিক বাহিনী বা সশস্ত্র বাহিনীর বোঝাপড়া কীভাবে আরও বাড়ানো যায়।’

তিনি বলেন, ‘আর একটা প্রশ্ন ছিল, আমাদের যুব সমাজের জন্য একটি ইউনিভার্সেল মিলিটারি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় কি না। যেখানে যুব সমাজের যারা আছেন, তারা মিলিটারি ট্রেনিং পেতে পারেন এবং দেশের প্রতিরক্ষায় তারা অংশ নিতে পারেন।’

আব্দুল হাফিজ বলেন, ‘তারা নিজ নিজ কয়েকটি জেলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে চান সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। রিমোট জায়গায় বা চরাঞ্চলে যেখানে হয়তো বেশি পরিমাণ ফোর্স দরকার বা লজিস্টিক নিয়ে যেতে হবে, এই ধরনের এলাকায় তারা অভিযান চালাতে চান। সে সংক্রান্ত প্রশ্ন ছিল।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নেভির কাছে প্রশ্ন ছিল কীভাবে জাটকাবিরোধী অভিযানের বা আমাদের নদীতে যে সম্পদ আছে, সেই সম্পদ রক্ষায় তারা আরও কীভাবে ওতপ্রোতভাবে সিভিল প্রশাসনকে সহায়তা করতে পারেন।’

‘আমাদের সেনাবাহিনীর জন্য প্রশ্ন ছিল, পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকিচিন ন্যাশনাল ফন্ট যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, তার কারণে কয়েকটি জেলায় পর্যটনশিল্প ব্যাহত হচ্ছে। এ পর্যটন শিল্প ব্যাহত হওয়ার কারণে সেখানকার ইয়াং জেনারেশন কাজ হারাচ্ছে, চাকরি হারাচ্ছে এবং তারা সন্ত্রাসের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ করতে পারি, সে সংক্রান্ত প্রশ্ন ছিল।’

আব্দুল হাফিজ বলেন, ‘দু-একটি জেলায় অস্ত্র ও গোলাবারুদ নষ্ট হয়ে গেছে, সেগুলো কীভাবে ধ্বংস করা যায়; সে বিষয়ে প্রশ্ন ছিল। এ ধরনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তারা উত্থাপন করেছিলেন।’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘আমি উল্লেখ করেছি, স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরা বিভিন্ন জায়গায় একত্র হচ্ছে এবং কর্মসূচি দিচ্ছে, তারা দেশকে একটা অরাজকতার দিকে নিয়ে যেতে পারে; সে ব্যাপারে তাদের সজাগ থাকতে হবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রথম পাতাল মেট্রোরেল কীভাবে চলবে, জানাল কর্তৃপক্ষ

রাবিতে দুই দিনব্যাপী গবেষণা মেলা শুরু শনিবার

মাটির তৈরি সব বহুতল ভবন টিকে আছে হাজার বছর

সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

কুয়েটের উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করায় ঢাবি সাদা দলের উদ্বেগ

আন্দোলনে আহত খোকনের চিকিৎসা হবে বিদেশে 

অক্টোবরে তপশিল ঘোষণা করে ডিসেম্বরে নির্বাচন দিন : আসাদুজ্জামান রিপন

জবিতে ‘চেতনায় একুশ’ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

চট্টগ্রাম ওয়াসায় দুদকের অভিযান, মিলল অনিয়মের প্রমাণ

সিএনজি যাত্রীর ব্যাগে মিলল এলজি

১০

বিএম কন্টেইনার ডিপো পরিদর্শনে নেদারল্যান্ডসের প্রতিনিধি দল

১১

কত টাকায় নিতে পারবেন স্নেক ম্যাসাজ

১২

সিরাজগঞ্জে বাসচাপায় অটোভ্যানের দুই যাত্রী নিহত

১৩

এমসি কলেজের ঘটনায় বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়ে শিবিরের ব্যাখ্যা

১৪

বাগেরহাটে সংঘর্ষে আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু

১৫

হার দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু বাংলাদেশের

১৬

পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল দুই শিশুর

১৭

দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে : গভর্নর

১৮

হলি ফ্যামিলি মেডিকেলে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা 

১৯

বিক্রির ৩ দিন পর শিশু উদ্ধার

২০
X