জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহতদের তিনটি ক্যাটাগরিতে সরকারি সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের এক অধিবেশন শেষে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, প্রথম ক্যাটাগরিতে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের এককালীন ৫ লাখ টাকা এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে এক অঙ্গহানি হওয়া ব্যক্তিদের এককালীন ৩ লাখ টাকা এবং মাসে ১৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। আর তৃতীয় ক্যাটাগরিতে সামান্য আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন, ভালো হয়ে গেছেন, তারা অগ্রাধিকারভিত্তিতে চাকরি ও পুনর্বাসনে অগ্রাধিকার পাবেন। তারা ভাতা পাবেন না।
তিনি আরও বলেন, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যে প্রতিটি শহীদ পরিবারকে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র করে দেওয়া হবে। বাকি ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাইয়ের মধ্যে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এই ৩০ লাখ টাকা শুধু শহীদ পরিবারের জন্য।
উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তারা ‘জুলাই শহীদ’ নামে খ্যাত হবেন। এই নিরিখে তারা সনদ পাবেন, পরিচয়পত্র পাবেন। জুলাই অভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন, তারা জুলাই যোদ্ধা নামে অভিহিত হবেন। তারা এই নিরিখে পরিচয়পত্র পাবেন, সরকারি সুবিধা পাবেন। তারা আজীবন এই সুবিধা পাবেন। ভাতাও পাবেন।
জুলাই অধিদপ্তরের কার্যক্রম কবে থেকে শুরু হতে পারে এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অধিদপ্তরের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। এ সপ্তাহের মধ্যে বা শিগগিরই অধিদপ্তর আত্মপ্রকাশ করবে। একটা নীতিমালা হয়েছে। এটা চূড়ান্ত পর্যায়ে। তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সরকারিভাবে অধিদপ্তর করছে। আগামী নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন, তারা জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা নিয়েই আসবেন। আশা করছি, তারা এই ধারা অব্যাহত রাখবেন।’
মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক-ই-আজম বলেন, অনেক ডিসি অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন জায়গায় অমুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। তাদের বিষয়ে জেলায় জেলায় মুক্তিযোদ্ধারা সোচ্চার হচ্ছেন। তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে ডিসিরা অনুরোধ করেছেন। ডিসিরা আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা চেয়েছে। আমরা ডিসিদের বলেছি, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) পুনর্গঠন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায়ও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সে অনুযায়ী জেলায় জেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই করা হবে। সেখান থেকে অমুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করা হবে। পরবর্তী সময়ে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন