কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:২৪ পিএম
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কর দিতে হবে গ্রামাঞ্চলের চিকিৎসক ও ব্যবসায়ীদের : অর্থ উপদেষ্টা

ডিসি সম্মেলনের অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত
ডিসি সম্মেলনের অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত

জেলা-উপজেলা ও গ্রামাঞ্চলে পর্যাপ্ত আয় করা ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকদের ট্যাক্সের আওতায় আনতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। পাশাপাশি দেশের সব চিকিৎসক এবং আইনজীবীদের ফির রশিদ বা ডিজিটাল পেমেন্ট মেথডে এনে তাদেরও করের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রামে অনেকে অনেক আয় করছে বলে ডিসিরা জানিয়েছেন। কিন্তু তারা কর দিচ্ছেন না। আমরা এখন কর সংগ্রহে জোর দিয়ে রাজস্ব বাড়াতে চাই। এ বিষয়ে এনবিআর এখন উদ্যোগ নেবে। তাদের একটি তালিকা ডিসিরা দেবেন।

তিনি বলেন, দেশের সব চিকিৎসক এবং আইনজীবীরা যে ফি নেন, সেটা রশিদ বা ডিজিটাল পেমেন্ট মেথডে এনে তাদেরও করের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

উপদেষ্টা বলেন, চিকিৎসক ও আইনজীবীরা সরাসরি ক্যাশ ট্রানজেকশন করেন৷ এর কারণে তাদের করের আওতায় আনা যায় না। চিকিৎসকরা যে ফি নেন, তার রিসিট তারা দেন না। এই ফি যদি ডিজিটাল মাধ্যমে দেওয়া হয়, তাহলে কিন্তু তার একটা রেকর্ড থাকে। বিদেশে সব এমনই থাকে, রেকর্ডেড।

তিনি আরও বলেন, ডিসিরাই আজ উত্থাপন করেছেন গ্রামাঞ্চলে ব্যবসায়ীরা অনেক আয় করেন। তখন এনবিআর এ বিষয়টি নিয়ে ড্রাইভ দিতে বলেছে৷ আমাদের ট্যাক্সের আওতা না বাড়ালে তো হবে না৷ এমনিতেই তো দাবি থাকে ভ্যাট কমান-ট্যাক্স কমান৷ সুতরাং ভ্যাট-ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে রেখে ট্যাক্স গ্রহণের পরিধিটা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে এই ট্যাক্স নেটটা বাড়িয়ে রাজস্ব আরও বিস্তৃত করতে পারি৷ মোটকথা জোর করে করের পরিমাণ না বাড়িয়ে ট্যাক্সের নেট বাড়ানো হবে৷ আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ কিন্তু কর দেয় মাত্র পাঁচ লাখ৷

আমাদের কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে উল্লেখ করে এ সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান বাড়ানো সহজ। চীনে গ্রাম্য শিল্পের সঙ্গে গভীর যোগাযোগ। চীনের প্রত্যন্ত একটি গ্রামে তৈরি হওয়া পণ্য আমেরিকার ওয়ালমার্টেও পাবেন। অথচ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এ জিনিসগুলো যোগাযোগের অভাবে উঠে আসে নাল। যোগাযোগ না থাকায় সামগ্রিক উন্নয়নটা করা সম্ভব হবে না।

সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ডিসিরা যে দুর্গম এলাকায় রয়েছেন, সেখানে তারা যোগাযোগব্যবস্থা বাড়ানো এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ব্যবস্থার কথা বলেছেন। সঙ্গে এও জানিয়েছেন, এসএমই খাতে ছোট উদ্যোক্তা লোন পায় না। সেগুলো আমরা ব্যবস্থা নেব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয়তাবাদী ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের একুশে ফেব্রুয়ারি পালন

খুবিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই : রাশেদ প্রধান

অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

সীমান্ত নিয়ে বৈঠকে একমত হলো না বিজিবি-বিএসএফ

নগদ অর্থ উত্তোলন ও পরিবহনে ‘মানি এসকর্ট’ সেবা দেবে ডিএমপি

জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

সড়ক দুর্ঘটনার কবলে সৌরভ গাঙ্গুলি

প্রিন্স অব কলকাতার চরিত্রে রাজকুমার

নরসিংদীতে বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

১০

সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিবিরের বিপক্ষে কথা বলতে ভীত-সন্ত্রস্ত : ছাত্রদল

১১

নোবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

১২

সিটি ব্যাংকে নিয়োগ, নেই কোনো বয়সসীমা

১৩

সেই সানজিদার প্রশংসা করলেন জামায়াত আমির

১৪

ভাষাশহীদ সালাম নগরে সর্বস্তরের মানুষের ঢল

১৫

ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীর স্মরণে বইমেলা

১৬

এখনো মাথায় ৯টি গুলি বয়ে বেড়াচ্ছেন আলাউদ্দিন

১৭

বিমানবন্দর থেকে ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

১৮

ভোটকেন্দ্র নির্মাণের টাকা ‘প্রধান শিক্ষকের পকেটে’

১৯

জনগণের পক্ষের রাজনীতিবিদ কখনো পালায় না : রিজভী

২০
X