আগামীকাল শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পবিত্র শবে বরাত। এদিন রোজা পালন, নফল নামাজ আদায় ও ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি মুসলমানরা শবে বরাত বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। এ রাতটি ‘লাইলাতুল বরাত’ হিসেবেও পরিচিত।
ইসলাম ধর্মে যে কয়টি তাৎপর্যপূর্ণ রাত রয়েছে, তার মধ্যে একটি পবিত্র শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত। আরবী শাবান মাসের ১৪ তারিখ সূর্য ডোবার সাথে সাথে শবে বরাতের রাত শুরু হয়ে পরদিন ফজর পর্যন্ত এর মহত্ম থাকে। এ রজনীতে আল্লাহতায়ালা সৃষ্টি জগতের সবার ভাগ্য নির্ধারণ করেন বলে বিশ্বাস মুসলমানদের। তাই মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির আসকর করেন। অনেকে দিনে নফল রোজা রাখেন।
রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত (শবে বরাত)। আল্লাহ তায়ালা এ রাতে তার বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন। ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন।
অনুগ্রহপ্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই। (তাবারানি ১৯৪)
এ রাতে আল্লাহ বান্দাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। মহানবী সা. বলেন, এ রাতে আল্লাহতাআলা বনু কালবের ছাগলগুলোর পশমের চেয়ে বেশিসংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করেন। (ইবন মাজাহ ১৩৮৯)
শবে বরাতে নামাজের নিয়ম শবে বরাতে রাত্র জেগে নফল নামাজ পড়তে বলেছেন নবীজি। এ রাতের আলাদা কোনো নামাজ নেই। নফল নামাজই যে যত পারি পড়ব।
অন্যান্য নফল নামাজ যেভাবে পড়া হয়, এ দিন রাতেও যেভাবে নফল নামাজ পড়তে হবে। আলাদা করে কোনো নিয়ত করতে হবে না। আলাদা কোনো নিয়মও নেই।
শবে বরাতের দোয়া শবে বরাতের সব ইবাদতই নফল ইবাদত। সাহাবায়ে কেরাম নবীজিকে বললেন আগেকার যুগের উম্মত দীর্ঘ হায়াত বা জীবন পেত, আমরা তো অল্প কয়েকদিন বাঁচি, তারা ইবাদতের দিক দিয়ে আমাদের থেকে এগিয়ে যাবেন।
তখন নবীজিকে আল্লাহ এমন কিছু রজনী দিয়েছেন, এ রজনীগুলোতে ইবাদত করলে অনেক অনেক সওয়াবের ভাগিদার হওয়া যায়। তবে এ রাতে সবচেয়ে বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। কদরের রাত্রিতে একটা দোয়া পড়া হয় ক্ষমা লাভ করার জন্য। এ দোয়াটা এ রাতেও পড়া যায়।
গুরুত্বপূর্ণ দোয়াটি হলো- للَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّى
উচ্চারণ : আল্লাহম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি।
অর্থাৎ : হে আল্লাহ, তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা পছন্দ করো, অতএব আমাকে ক্ষমা করে দাও।
মন্তব্য করুন