নর্থ ইন্ডিয়ান ওশান হাইড্রোগ্রাফিক কমিশনের (এনআইওএইচসি) সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। কমিশনের ২৪তম সভায় থাইল্যান্ড নৌবাহিনীর কাছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্ব গ্রহণ করে। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ১১-১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, কমিশনের ২৪তম সভার সমাপনী দিনে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৫-২০২৭ সালের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী থাইল্যান্ড নৌবাহিনীর থেকে এনআইওএইচসির সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করে। এনআইওএইচসির সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী নির্বাচিত হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, নিরাপদ ও কার্যকর নৌ-পরিবহন নিশ্চিত করতে হাইড্রোগ্রাফিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিশ্রুতির বহিঃপ্রকাশ। সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আঞ্চলিক হাইড্রোগ্রাফিক নীতিমালা প্রণয়ন এবং টেকসই সামুদ্রিক উন্নয়কে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। নৌবাহিনীর এ অর্জন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করবে।
আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, ব্যাংককে অনুষ্ঠিত সভায় সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (অপারেশন্স) ও ন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফিক কমিটির চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে আয়োজিত এনআইওএইচসি-এর ২৪তম সভায় বাংলাদেশ ছাড়াও কমিশনের সদস্য রাষ্ট্র মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, পাকিস্তান, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা ও যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি ৬টি সহযোগী সদস্য রাষ্ট্র ও ৩টি পর্যবেক্ষক দেশ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করে।
সভায় হাইড্রোগ্রাফি কর্মকান্ডের মানোন্নয়ন, আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, সুনীল অর্থনীতি প্রসারে হাইড্রোগ্রাফির ভূমিকা, ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা এবং নিরাপদ নৌ চলাচলে হাইড্রোগ্রাফির গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এ ছাড়াও সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-১৪ (জলজ জীবন) অর্জনে হাইড্রোগ্রাফির ভূমিকা বিষয়ে আলোচনা হয়।
মন্তব্য করুন