ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে বিদেশগামী শ্রমিক ও কর্মীদের জন্য উড়োজাহাজে বিশেষ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া টিকিট বিক্রির প্রকৃত মূল্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে জনগণকে জানাতে এজেন্সি ও এয়ারলাইনসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সিএ-২ অধিশাখার সিনিয়র সহকারী সচিব রুমানা ইয়াসমিনের সই করা এক পরিপত্রে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরিপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইনস এবং ট্রাভেল এজেন্সিসমূহ ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে বিদেশগামী শ্রমিক ও কর্মীদের জন্য বিশেষ বিমান ভাড়ার ব্যবস্থা করবে। মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়াসহ প্রবাসী কর্মীদের টিকিট ভাড়া কমানোর জন্য আগামী সাত দিনের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসহ সব এয়ারলাইনস ও বোর্ড অব এয়ারলাইনস রিপ্রেজেন্টেটিভস (বিএআর) পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এ ছাড়া গ্রুপ বুকিংয়ে উড়োজাহাজের প্রকৃত ভাড়া টিকিট বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃত বিক্রয়মূল্য জানাতে এয়ারলাইনস ও ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরিপত্রে। এতে বলা হয়, গ্রুপ টিকিটসহ যেকোনো টিকিট বুকিংয়ের জন্য কালে ভ্রমণেচ্ছু যাত্রীর নাম, পাসপোর্ট নম্বর ও পাসপোর্টের ফটোকপিসহ বুকিং সম্পন্ন করতে হবে। বুকিংয়ের তিন দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট যাত্রীর নামে টিকিট ইস্যু না হলে এয়ারলাইনস স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ওই টিকিট বাতিল করবে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এয়ারলাইনস ও ট্রাভেল এজেন্সি গ্রুপ বুকিংয়ের মাধ্যমে ব্লককরা টিকিট আগামী সাত দিনের মধ্যে ভ্রমণেচ্ছু যাত্রীর নাম, পাসপোর্ট নম্বর এবং পাসপোর্টের কপিসহ বিক্রয় নিশ্চিত করবে। না হলে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনস টিকিটগুলো স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বাতিল করবে।
সব এয়ার টিকিট অনলাইনে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে এবং বিক্রি হওয়া টিকিটের দাম অনলাইনে এবং টিকিটের গায়ে প্রদর্শিত থাকতে হবে নির্দে দিয়ে এতে বলা হয়, এয়ারলাইনস এবং ট্রাভেল এজেন্সিগুলো আবশ্যিকভাবে বেসামরিক বিমান চলাচল বিধিমালা, ১৯৮৪-এর বিধি ২৮৯–এ থাকা বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী যথাযথভাবে 'ট্যারিফ ফিলিংয়ের’ বিধান পালন করবে এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) অনুমোদিত ট্যারিফ বেবিচকের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। এয়ারলাইনস কিংবা ট্রাভেল এজেন্সিগুলো সংশ্লিষ্ট বিমানসংস্থার বেবিচকের দাখিল করা ভাড়ার অতিরিক্ত টাকায় টিকিট বিক্রি করা থেকে বিরত থাকবে। একই সঙ্গে ট্রাভেল এজেন্সিসমূহ বাধ্যতামূলকভাবে যাত্রীকে এয়ারলাইনস থেকে প্রাপ্ত মূল্য-সংবলিত টিকিট প্রদান এবং সেও টিকিট বিক্রির রসিদ দেবে।
মন্ত্রণালয় ওই নির্দেশনায় আরও জানায়, চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও কিংবা চাহিদার অতিরিক্ত টিকিট মজুত করে অন্য এজেন্টের মাধ্যমে এয়ার টিকিট বিক্রির কারণে টিকিটের দাম বাড়লে বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২ এর বিধি-১৫ অনুযায়ী মূল ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন সনদ স্থগিত বা বাতিল করা হবে।
বালাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী অনিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে পরিপত্রে।
মন্তব্য করুন