গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা না হলে জনগণ অধিকার বঞ্চিত হবেই বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা আয়োজিত ‘জনগণের প্রত্যাশা, আগামীর বাংলাদেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ঢাবির সাবেক ভিসি দ্রুত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বলেন, নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে পুরোপুরি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না। যার কারণে রাষ্ট্রীয় কাঠামোগুলো ভেঙ্গে পড়ে। বর্তমান দেশের অশান্তি বিরাজ করছে একমাত্র নির্বাচিত সরকার না থাকার কারণে। তবে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ২০১৪, ১৮ ও ২৪'র নির্বাচনকে কলঙ্কিত করেছে। দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে। তারা দিনের ভোট রাতে করে জনগণকে গণতন্ত্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। সরকারকে মনে রাখতে হবে গণতান্ত্রিক সমাজ মানেই সর্বস্তরে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
এসময় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, নামান্তর স্বাধীনতা দিয়েই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয় না। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হলেই স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার উপদেষ্টা ও ঢাকা গ্রীণ ওয়াচ এর সম্পাদক সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, মহাসচিব নজরুল ইসলাম বাবলু, ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বেপারি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক (যুক্তরাষ্ট্র শাখা) এ এস এম রহমত উল্লাহ, লেখক, কলামিস্ট কালাম ফয়েজী, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের মোজাম্মেল হোসেন শাহীন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ খাদ্য চাই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম বাচ্চু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইমান সিদ্দিকী, রাসেল কবির, মোরশেদ আলম, মোঃ মামুনসহ অনেকে।
মন্তব্য করুন