বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের বাড়ি ভেঙে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের পরিবারের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, খুনি হাসিনাসহ সকল ভোটচোর ফ্যাসিস্ট এমপি-মন্ত্রীর আবাস ভেঙে সেখানে ভবন তৈরি করে শহীদ পরিবারকে ফ্ল্যাট উপহার দেওয়া এখন সময়ের দাবি।
এর কিছুক্ষণ পর আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, এটি বর্তমান প্রজন্মের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। স্বৈরাচারী ও দমননীতির বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিক্রিয়া। ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না, তবে এটি বড় বার্তা হয়ে থাকবে।
এদিকে, বুধবার রাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলার ঘটনার পর ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ফেসবুকে লেখেন, আবু জাহেলের বাড়ি এখন পাবলিক টয়লেট!
একইরকম স্ট্যাটাস দিতে দেখা গেছে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাচ্ছুমকেও। হাসনাত তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ। নুসরাত লিখেছেন, ৯টা বলে ৮টায় শুরু করার ধিক্কার জানাই! হায়রে মানোস (মানুষ)! ছিহ সমোন্নোয়ক (সমন্বয়ক) ছিহ!
এছাড়া, আন্দোলনের আরও কয়েকজন সংগঠক বিভিন্ন স্ট্যাটাসে তাদের প্রতিক্রিয়া জানান। সমন্বয়ক রিফাত রশিদ লিখেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে। এবার দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। শুধুমাত্র ৩২ ভাঙার মধ্য দিয়ে এই জাতীয় ঐক্যকে জনতুষ্টির মাঝে হারিয়ে যেতে দেবো না আমরা। ছাত্রজনতা মাঠে আছে এইটার প্রমাণ ইন্টিরিম পেয়েছে। এবার বল তাদের কোর্টে, তারা কীভাবে নিজেদের কোর্টের বল খেলে সেদিকে আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি।
এর আগে, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগদানের ঘোষণা দেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর প্রতিবাদে ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স।
প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার রাত ৮টার দিকে আন্দোলনকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে প্রবেশ করে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয় এবং পরে বুলডোজার দিয়ে বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন