মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৬ পিএম
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গুমের ঘটনায় যাদের নাম পেয়েছে এইচআরডব্লিউ

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) গুমের ঘটনা তদারকিতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কয়েকজন শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে।

সংস্থাটি বলেছে, শেখ হাসিনা, শীর্ষ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গুমের ঘটনা তদারকিতে যুক্ত ছিলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটির সম্প্রতি প্রকাশিত ‘আফটার দ্য মনসুন রেভ্যুলিউশন : আ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

জোর করে গুমের ঘটনা তদন্তকারী জাতীয় কমিশন গত ১৪ ডিসেম্বর তাদের প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে সাড়ে তিন হাজারের বেশি জোরপূর্বক গুমের ঘটনা ঘটেছে।

এইচআরডব্লিউ বলেছে, জোর করে গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছেন, শেখ হাসিনা ও তার সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিরা গুম করে রাখার বিষয়ে অবগত ছিলেন।

শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর গোপন আটক কেন্দ্র থেকে তিনজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল এবং এই তিনজনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ধরে তাদের আটক রাখার কথা অস্বীকার করে আসছিল।

গুম হওয়ার শিকার আইনজীবী মীর আহমাদ বিন কাসেম বলেছেন, তাকে যে স্থানে আটক রাখা হয়েছিল, সেটি ‘বন্দিদের মৃত্যুর চেয়েও খারাপ অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য নিখুঁতভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল।’

ন্যাশনাল ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্যাতনের ধরন শুধু পদ্ধতিগত নয়, বরং প্রাতিষ্ঠানিকও ছিল।

এইচআরডব্লিউ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন ও জোর করে গুমের জন্য দায়ী পুলিশ ও সামরিক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ভেঙে দিতে সরকারের জাতীয় তদন্ত কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কাজ করা উচিত।

এ প্রতিবেদনের বিষয়ে এইচআরডব্লিউ বলেছে, র‌্যাব প্রধান এ কে এম শহীদুর রহমান ইউনিটের গোপন ডিটেনশন সেন্টারের কথা স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে অন্তর্বর্তী সরকার ইউনিটটি ভেঙে দিতে চাইলে র‌্যাব সিদ্ধান্ত মেনে নেবে।

বাংলাদেশে বিভেদমূলক রাজনীতির দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে ঢুকে যেতে পারে উল্লেখ করে এইচআরডব্লিউ বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত আটক করে রাখার সব স্থানে অঘোষিত পরিদর্শন করার কর্তৃত্বসহ আইন প্রয়োগের ওপর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মাধ্যমে স্বাধীন বেসামরিক তদারকি প্রতিষ্ঠা করা।

এ ছাড়া বাহিনীর ক্ষমতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড প্রয়োগ করা উচিত, যাতে সুস্পষ্ট হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো সদস্য আইন লঙ্ঘন করলে তাকে দায়ী করা হবে।

সূত্র : বাসস

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি আব্দুল আজিজ গ্রেপ্তার

সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়তাই কাল হলো শুল্ক কমিশনার মাহবুবের

বইমেলায় এসেছে মোস্তফা মননের বই ‘শাহজালাল’ 

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

নারী ফুটবল ইস্যু: যা বললেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক

‘অপকর্ম বন্ধ করুন এতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সুযোগ নিচ্ছে’

আ.লীগ নেতাকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক ১৬

আট বছরেও শুরু হয়নি সাংবাদিক শিমুল হত্যার বিচার

বিপিএলে অনিয়ম: স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন

বাকৃবির গবেষণা  / মাছের অব্যবহৃত অংশ থেকে তৈরি হচ্ছে খাদ্যদ্রব্য

১০

রাজশাহীতে বাসচাপায় নিহত ২

১১

যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন মির্জা ফখরুল-খসরু

১২

ফাইনালে শুধুই লেজার শো

১৩

আসামি ধরতে গিয়ে অবরুদ্ধ পুলিশ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

১৪

বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হলে কেউ জিতবে না : যুক্তরাষ্ট্রকে ইইউর হুঁশিয়ারি

১৫

সাফজয়ী ফুটবলার আঁখির নতুন ইনিংস, ভক্তকে বিয়ে করছেন তিনি

১৬

বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে ‘আওয়ামী কানেকশন’

১৭

ঘুরতে গিয়ে প্রাণ গেল ৩ বন্ধুর

১৮

প্রেস সচিবের মেয়ের ছবি বিকৃত করে প্রচার

১৯

সংস্কারের নামে নির্বাচনকে পেছানোর চেষ্টা হলে মানুষ মানবে না : আমিনুল হক 

২০
X