ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের আজীবন চিকিৎসাসহ ভাতা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয় অভ্যুত্থানে হতাহতদের সহায়তা নিয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত ও নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অতি বেশি সহানুভূতিপ্রবণ। তাদের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার।’
শহীদদের ব্যাপারেও সরকার অতি দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সেটা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। আহতদের ব্যাপারে ক্যাটাগরি অনুযায়ী তালিকা হচ্ছে। এই সপ্তাহের মধ্যে সেই তালিকা সম্পন্ন করতে পারব।’
এ সপ্তাহের মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘অধিদপ্তরের অধীনে একটা নীতিমালা হচ্ছে। এই নীতিমালার অধীনে হতাহতদের যাবতীয় সহায়তা দেবে সরকার। সরকার এ কাজগুলো যতটা দ্রুততার সঙ্গে সম্ভব সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’
উপদেষ্টা ফারুক বলেন, ‘আমরা মনে করি তাদের এ ত্যাগ ইতিহাসে অমোচনীয় এবং এই গৌরব জাতি সমভাবে তাদের সঙ্গে ধারণ করে। তাদের আত্মত্যাগের গৌরব আমরা অমলিন করে রাখতে চাই, এটা যেন অনাগতকালেও মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।’
চলতি অর্থবছরে নিহতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনে দেওয়া হবে এবং আহতদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সহায়তা দেওয়া হবে। আহত-নিহতদের সহায়তায় চলতি অর্থবছরে ২৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফারুক-ই আজম।
তিনি আরও বলেন, ‘আহতদের সারা জীবনের জন্য চিকিৎসা এবং অন্যান্য ভাতা দিয়ে দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় আছে।’
বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ও সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন