রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপদেষ্টারা লালগালিচায় হেঁটে খালে নামেন এবং ভাসমান এক্সেভেটরে উঠে খননের কার্যক্রমের উদ্বোধন করে কাজের সূচনা করেন।
উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন— পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আগের মেয়রগণও এমন হাঁকডাক দিয়ে খাল উদ্ধারে নামতেন, এখনও আপনারা লালগালিচায় খালে নেমে উদ্বোধন করছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমি ওটা (লালগালিচা বিছানো) খেয়াল করিনি, হয়তো আপনি সেটা খেয়াল করেছেন।’
আগের মেয়ররা বিভিন্ন সময় খাল উদ্ধারের উদ্যোগ নিলেও তা টেকসই হয়নি। এবারের উদ্যোগ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে খাল উদ্ধার হয়নি, তাই এখন নতুন করে শুরু, কিন্তু এখন আবার এই কার্যক্রম হাতে নিয়ে লাভ কী? এমনটা মনে হলে আমরা করবটা কী? আমাদের ৮ মাস কিংবা ১৪ মাসে পুরোটা করা সম্ভব হবে না, কিন্তু শুরুটা তো করে দিতে পারি।’
প্রসঙ্গত, ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি এলাকার মোট ১৯টি খাল সংস্কার করা হবে। প্রথম ধাপে ৬টি খাল সংস্কারের মাধ্যমে কর্মসূচির যাত্রা শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি খালগুলোর সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হবে।
প্রথম ধাপের ৬টি খালের মধ্যে ডিএনসিসি এলাকায় বাউনিয়া, কড়াইল, রূপনগর ও বেগুনবাড়ি নামের চারটি খাল রয়েছে। ডিএসসিসি এলাকায় মান্ডা ও কালুনগর খাল রয়েছে।
মন্তব্য করুন