বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বিয়ে করেছেন। শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) তিনি বিয়ে করেন। এরপর বিয়ে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি এ বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন।
সারজিস আলম লিখেন, আলহামদুলিল্লাহ। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী। গতকাল (শুক্রবার) আমি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। দুই পরিবারের উপস্থিতিতে মসজিদে বাদ আসর ছোট পরিসরে এই বিবাহ সম্পন্ন হয়।
তিনি লিখেন, যারা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, দু'আ করেছেন ; আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। পারিবারিকভাবে ছোট পরিসরে হওয়ায় কাছের অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীকে বলতে পারিনি। সেজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবে সুবিধাজনক সময়ে কিছুটা বড় পরিসরে একসাথে মিলিত হওয়ার ইচ্ছা আছে। আমাদের জন্য দু'আ করবেন।
এর আগে শুক্রবার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ একটি স্ট্যাটাসে সারজিসের বিয়ের বিষয়টি জানান। তিনি ক্যাপশনে লেখেন, নবজীবনে পদার্পণে অভিনন্দন সার্জিস ভাই। বিবাহিত জীবন সুখের হোক। ওই ছবিতে নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ এবং সারজিসকে দেখা যায়। বর বেশে সারজিসকে দেখা যায়- সাদা শেরওয়ানি এবং পাগড়ি পরা।
সার্জিস আলমের শশুরের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গাজিপুরের রাজিন্দ্র রিসোর্টে শুক্রবার আসরের নামাজ বাদ পারিবারিকভাবে তাদের বিবাহ কার্য সম্পন্ন হয়েছে। সারজিস আলম ২ জুলাই ১৯৯৮ সালে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আকতারুজ্জামান সাজু ও মা বাকেরা বেগম। দুই ভাইয়ের মধ্যে সারজিস আলম বড়। তার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন সাকিব।
সারজিস আলম ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে অমর একুশে হল সংসদে প্যানেল থেকে সদস্য পদে জয়লাভ করেছিলেন। তাছাড়া নানা পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিতার্কিক হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ছিলেন সারজিস আলম।
মন্তব্য করুন