শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের নামে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দসংক্রান্ত মামলা থেকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে দুদককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানায়, গত ১৬ জানুয়ারি এই চিঠি পাঠানো হয়। রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান সরকারের সই করা চিঠিটি ইতোমধ্যে দুদকে পৌঁছেছে।
শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলের ২৭ নম্বর সেক্টরে কূটনৈতিক এলাকায় ১০ কাঠার ৬টি প্লট বরাদ্দ নেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে শেখ হাসিনা রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিজ নামে, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও তার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের নামে এসব প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। অনিয়ম করে তিনি বরাদ্দ নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দুদক মামলা করেছে। এবার এ মামলায় রাজউক ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে রাজউকের চিঠিতে।
রাজউকের জমি বরাদ্দ নীতিমালা অনুযায়ী প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে রাজউক চেয়ারম্যান চিঠিতে বলেন, রাজউক ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা শুধু সরকারি নির্দেশ অনুসরণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রণালয়ের চিঠিপত্রের ভিত্তিতে পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পে শেখ হাসিনা, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদ, শেখ রেহানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক এবং রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের অনুকূলে রাজউকের জমি বরাদ্দ নীতিমালা অনুযায়ী প্লটগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, রাজউকের জমি বরাদ্দ নীতিমালা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্লট বরাদ্দের ক্ষমতা সরকারের রয়েছে।
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে প্লট বরাদ্দের ঘটনায় গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুদক। পরে এ মাসের শুরুতে ছয়টি পৃথক মামলা দায়ের করে দুদক। মামলায় প্লট পাওয়া ৬ জন ছাড়াও রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়।
মন্তব্য করুন