গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়মিত রাখার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন দ্রুত বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষক জোট।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে। ঢাকা জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদানের আগে ডিসি অফিস চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জোরপূর্বক পদত্যাগ, অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক ছুটি, কর্মস্থলে বাধাগ্রস্ত, অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকরা।
তাদের পাঁচ দফায় বলা হয়, পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের এমপিও থেকে নাম কর্তন না করে বেতন-ভাতাদি চালু রাখতে গত ১৪ জানুয়ারি মন্ত্রণালয় জারীকৃত এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে; পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ, অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক ছুটি বাতিল ঘোষণা করতে হবে; তাদের স্বপদে বহাল করে কর্মস্থলের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে; অনতিবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বার্থলোভী ও শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষকদের সমমানের এমপিওভুক্ত স্কুলে শূন্যপদে বদলির ব্যবস্থা করতে হবে।
পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষক জোটের আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম তালুকদার বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বল্প বেতনে নিয়োজিত শিক্ষকরা অনৈতিক, অন্যায় ও বর্বরতার শিকার হয়েছে। শারীরিক ও মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এ পর্যন্ত চারজন শিক্ষক মৃত্যুবরণ করেছেন। কেউ কেউ আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। কেউ চাকরি হারিয়ে, পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কেউবা ঘর-বাড়ি ছেড়ে দূর-দূরান্তে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এই হয়রানি ও বিপর্যয়কর অবস্থা থেকে আমরা রক্ষা পেতে চাই, নিরাপদে বাঁচতে চাই।
তিনি বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন আমাদের বুকে আশার সঞ্চার করেছে। আমরা শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষাসচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা এ প্রজ্ঞাপনের দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।
মন্তব্য করুন