কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ পিএম
আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার সফিউল্লাহ আর নেই

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ আর নেই। রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) অফিসার্স ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

তার ব্যক্তিগত সহকারী জিয়াউর রহমান মনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাদ জোহর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কাজী আবদুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ আসর তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে।

সফিউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থাইরয়েডে জটিলতা, ফ্যাটি লিভার, ডিমেনশিয়াসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় তিনি আক্রান্ত। দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্ট্রেচারে চলাফেরা করতেন।

১৯৭১ সালে সফিউল্লাহ ছিলেন জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় প্রধান। তার নেতৃত্বেই ওই রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যরা বিদ্রোহ করে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে সফিউল্লাহ ছিলেন ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। পরে তিনটি নিয়মিত আর্মি ব্রিগেড (ফোর্স নামে পরিচিত) গঠিত হলে “এস” ফোর্সের নেতৃত্বে আসেন সফিউল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি “বীর উত্তম” খেতাব পান।

১৯৩৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জন্ম নেওয়া কে এম সফিউল্লাহ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পরে মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।

১৯৯১ সালে দেশে ফিরে এলে তাকে এক বছর ওএসডি করে রাখা হয়। পরের বছর তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে যান।

১৯৯৫ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ১৯৯৬ সালে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে নারায়ণগঞ্জ ১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন বেগবান করতে মুক্তিযুদ্ধের জীবিত সেক্টর কমান্ডাদের নিয়ে ২০০৭ সালে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম গঠিত হলে সফিউল্লাহ ছিলেন সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। পরে তিনি এ সংগঠনের চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন।

১৯৭৫ সালে একদল সেনাসদস্য যখন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করে, সফিউল্লাহ তখন সেনাপ্রধানের দায়িত্বে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খন্দকার মোশতাক আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত সরকারের প্রতি তিনি আনুগত্যও প্রকাশ করেছিলেন। তবে কয়েক দিনের মধ্যে তাকে সেনাপ্রধানের পদ হারাতে হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশায় ঠান্ডা অব্যাহত

যুক্তরাষ্ট্রে বেশি বেশি সন্তান চান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট

আজ ভাগ্যে কী আছে, জেনে নিন রাশিফলে

চিয়া সিড বেশি খেলে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে

দুপুরে ৭ কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে জরুরি সভা করবে ঢাবি উপাচার্য

বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা-দিল্লি না লাহোর?

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি করা সেই এসআই গ্রেপ্তার

গাজা খালি করতে চান ট্রাম্প, কোথায় যাবেন ফিলিস্তিনিরা

মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে আজই বাদ দিন এই খাবারগুলো

সাত কলেজের চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত

১০

দিনাজপুরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রিতে

১১

যে কারণে হঠাৎ ঢাবি-সাত কলেজ সংঘর্ষ

১২

কোকোর মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটন করা হবে: ডা. জাহিদ

১৩

পবিত্র শবেমেরাজ আজ

১৪

ট্রাম্পীয় নীতি: সামনে আর কী অপেক্ষা করছে

১৫

খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে: এমএ মালেক

১৬

২৭ জানুয়ারি : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে 

১৭

সোমবার ঢাকার যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৮

২৭ জানুয়ারি : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৯

গরিব-দুঃখীর ওপর কিসের আইন : মঈন খান

২০
X