কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চেয়ারম্যান-মেয়র হতে শিক্ষাগত যোগ্যতা যতটুকু লাগবে

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

পৌরসভা-সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ইউনিয়ন-উপজেলা-জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে স্নাতক বা সমমান। এমন সুপারিশ চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) মাঠপর্যায়ে মতামত নেওয়া এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ করেছে কমিশন। এরপর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে প্রতিবেদন তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কমিশন আশা করছে, ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবে তারা।

নতুন সুপারিশ কার্যকর হলে নিরক্ষর বা স্বল্পশিক্ষিতরা আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেনা। ফলে এসব পদে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে অদক্ষদের বিজয়ী হওয়ার পথ বন্ধ হতে যাচ্ছে।

বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন সংস্কার কমিশনের প্রধান স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমদ। তিনি একটি জাতীয় দৈনিককে বলেন, ‘সারাদেশ থেকে সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো, দল-পেশিশক্তি ও টাকা-পয়সার কারণে শিক্ষিত লোকজন জনপ্রতিনিধি হতে পারেন না। নিরক্ষর লোকদের দাপটে সজ্জন, গুণী ও শিক্ষিতরা নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। নিরক্ষর লোক যেন জনপ্রতিনিধি হতে না পারেন, শিক্ষিতরা জনপ্রতিনিধি হতে আগ্রহী হন এবং বিজয়ী হয়ে আসতে পারেন– এমনভাবে সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হবে। কিন্তু ভোটে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার কোনো মানদণ্ড সংবিধানে উল্লেখ নেই। ভোটে অংশগ্রহণে তাদের বাদ দেওয়ারও সুযোগ নেই। এ জন্য কৌশলী হতে হচ্ছে কমিশনকে।

তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন ভোটাররা। আর ইউপি সদস্যরা ভোট দিয়ে একজনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন। চেয়ারম্যানকে অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। তা না হলে তিনি চেয়ারম্যান হতে পারবেন না। একইভাবে ইউপি সদস্যদের মধ্য থেকে একজনকে সভাধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হবে। তাকেও স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। একই পদ্ধতিতে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় সরাসরি ভোটে মেয়র নির্বাচিত হতে পারবেন না।

এদিকে আরও কিছু সংস্কারের কথা ভাবছে কমিশন। গত বছরের ডিসেম্বরে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বর্তমানে নির্বাচনটা আমাদের দেশে বেশ ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে। গত সরকারের সময়ে ২০২১ থেকে ২০২৪ সালে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে (ইউপি, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, উপজেলা ও জেলা পরিষদ) তাতে ব্যয় হয়েছে ২৩ হাজার কোটি টাকা। আর সময় লেগেছে ২২৫ দিন। লোক নিয়োগ দিতে হয়েছে ১৯ লাখ। এটা খুবই ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। একটা নির্বাচন দেশে অনেক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিও সৃষ্টি করে। আমরা যদি আইন পরিবর্তন করে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন একই দিনে করতে পারি, তাতে খরচ লাগবে ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা। আর সময় লাগবে মাত্র ৪০ দিন। আমরা বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করছি। সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদনটা দিয়ে দেওয়ার। তাহলে সরকারও বাস্তবায়ন করতে সময় পাবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজ ভাগ্যে কী আছে, জেনে নিন রাশিফলে

চিয়া সিড বেশি খেলে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে

দুপুরে ৭ কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে জরুরি সভা করবে ঢাবি উপাচার্য

বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা-দিল্লি না লাহোর?

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি করা সেই এসআই গ্রেপ্তার

গাজা খালি করতে চান ট্রাম্প, কোথায় যাবেন ফিলিস্তিনিরা

মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে আজই বাদ দিন এই খাবারগুলো

সাত কলেজের চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত

দিনাজপুরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রিতে

যে কারণে হঠাৎ ঢাবি-সাত কলেজ সংঘর্ষ

১০

কোকোর মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটন করা হবে: ডা. জাহিদ

১১

পবিত্র শবেমেরাজ আজ

১২

ট্রাম্পীয় নীতি: সামনে আর কী অপেক্ষা করছে

১৩

খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে: এমএ মালেক

১৪

২৭ জানুয়ারি : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে 

১৫

সোমবার ঢাকার যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৬

২৭ জানুয়ারি : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৭

গরিব-দুঃখীর ওপর কিসের আইন : মঈন খান

১৮

তেলের ডিপোর ভয়াবহ আগুনে মুহূর্তেই শেষ ১৫ দোকান

১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দুঃখ প্রকাশ

২০
X