কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নির্বাচনে প্রার্থীর এজেন্টদের প্রশিক্ষণ বিষয়ে জানাল ইসি

বক্তব্য দিচ্ছেন নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত
বক্তব্য দিচ্ছেন নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব প্রার্থীর এজেন্টদের প্রশিক্ষণে সহায়তা দিতে চায় জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ।

তিনি বলেন, ১০ দিন পর আজ ফের তারা এসে একটা ফিডব্যাক দিয়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের সঙ্গে কথা বলেছেন। সরেজমিন দেখেছেন। এর ভিত্তিতে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমাদের কিছু সহযোগিতা করবেন। কিছু লজিস্টিকস যেটা ক্যামেরা, কম্পিউটার, হার্ডওয়্যার টাইপের; আরেকটা জিনিস হচ্ছে দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেবেন। এ প্রশিক্ষণ হবে অংশীজনদের নিয়ে।

আমরা যেমন বলেছিলাম নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে জড়িতদের দক্ষতা বাড়ানোর প্রয়োজন আছে; তেমনি প্রাসঙ্গিকভাবে যারা জড়িত, তাদেরও প্রয়োজন আছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, যেমন সিভিল সোসাইটির যারা ভোটের সময় নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন, তাদের জন্য প্রশিক্ষণ কেমন করে কতটুকু দেওয়া যেতে পারে। উপকরণ কী হবে, এগুলোর সঙ্গেও তারা থাকবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, দলগুলোর সঙ্গে প্রশিক্ষণ নয়। তবে ভোটকেন্দ্রে যিনি দলের আছেন, তার সঙ্গে যদি আমরা কাজ করতে পারি, তাহলে বেটার রেজাল্ট পাব। ভালো কিছু করতে গেলে একসঙ্গে হতে হবে।

তিনি বলেন, সবাই অন্তর্ভুক্তিমূলক হোক। প্রশিক্ষণ কোথায় হবে, কারা দেবে এ প্রশ্নগুলো তো সামনে আসবে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে। সব প্রার্থীর এজেন্ট। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে কলেবরটা বাড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তারা নারী অংশগ্রহণের বিষয়ে বলেছেন। আমরা বলেছি যে এ জন্য ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটার করছি। এখন ভোটকেন্দ্রে তো তারাই যাবেন। এ জন্য আমরা সব সময় উৎসাহ জানাচ্ছি, যাতে তারা অংশ নেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষতা আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, যাতে নির্বাচনী ফলাফল দ্রুত দেওয়া যায়, সুশীল সমাজের অংশগ্রহণ, যুব সমাজের সচেতনতা বাড়ানো, তাদের দায়িত্ব কী, এসব নিয়ে কথা হয়েছে বলেও জানান এই সচিব।

তিনি বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণে কতটা কী করা যেতে পারে, তা নিয়েও কথা হয়েছে। আমরা বলেছি যে কোনো কিছু বন্ধ রাখিনি। একটা সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার আমরা করছি।

আখতার আহমেদ বলেন, নির্বাচনের জন্য আগাম হিসাবটা খু্ব জরুরি। ১ জানুয়ারি নির্বাচন করতে হলে ডিসেম্বর থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়। এ ব্যাকওয়ার্ড ক্যালকুলেশনে যতগুলো জিনিস আছে, আমরা সব নিয়ে কাজ করছি। তারা বলেছে, তোমরা যা করার করছ, গ্যাপ যা থাকে, আমরা পূরণের চেষ্টা করব। তারা নিউইয়র্কে যাচ্ছেন। রিপোর্ট দেবেন। সেখান থেকে অনুমোদনের পর দুই সপ্তাহের মধ্যে আবার আসবেন।

এর আগে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলারের নেতৃত্বে নির্বাচন ভবনে আসা একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন ইসি সচিব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিদ্যুৎ প্রকল্পে অতিরিক্ত ৩ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

দূষণ বিরোধী অভিযানে প্রায় ৮ কোটি টাকা জরিমানা

‘না ডাকলে সীমান্তের শূন্য রেখায় কেউ যাবেন না’

সিলেটকে হারিয়ে টেবিলের চার নম্বরে খুলনা

গণফোরাম থেকে মহিউদ্দিন আবদুল কাদিরের পদত্যাগ

চোখের জলে বিদায় নিলেন ৬ শিক্ষক

বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

তুরস্কের চিকিৎসক দলের অর্থায়নে ২৫শ শিশুর সুন্নতে খতনা

ক্লাবের পর আশ্বাস পেলেন ক্রিকেটাররাও

স্নাতকে ৪-এ ৩.৯৯ পেয়ে প্রথম ঢাবি শিবিরের প্রচার সম্পাদক সাজ্জাদ

১০

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স / ৩ লাখ মানুষের চিকিৎসায় ৪ ডাক্তার

১১

সিলেটে বইয়ের জন্য শিশু শিক্ষার্থীদের হাহাকার

১২

মার্কিন নাগরিকত্বের জন্য ভারতীয় নারীদের আগাম সন্তান জন্মদানের হিড়িক

১৩

‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে চাঁদাবাজির মূলোৎপাটন করবে’

১৪

রাবিতে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

১৫

সারা দেশে বৈঠক ডেকেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

১৬

‘জিয়াউর রহমান কৃষিকে লাভবান পেশা হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন’

১৭

‘তরুণ প্রজন্মের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম’

১৮

চেহারা পরিবর্তন হলেও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি : ফয়জুল করিম

১৯

তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা

২০
X