চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসই) তাদের ট্রেডিং সময়সূচিতে পরিবর্তন এনে ব্রোকারেজ হাউজে চিঠি দিয়েছে তা প্রত্যাহার করেছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) ডিবিএর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিএসইর নতুন সময়সূচি অনুযায়ী সিএসই আগামী ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ থেকে তাদের ট্রেডিং সময়সূচি সকাল ১০টার পরিবর্তে সাড়ে ৯টায় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সিএসইর এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে বিদ্যমান সময়সূচি নিম্নোক্ত বিবেচনায় বহাল রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিজ্ঞপ্তিতে ডিবিএ জানায়, কোনো একটি দেশে একই টাইম জোনে একাধিক স্টক এক্সচেঞ্জে পৃথক ট্রেডিং সময়সূচি থাকার বিষয়টি নজিরবিহীন ও চিন্তা-বহির্ভূত। ডিএসই ও সিএসই উভয় এক্সচেঞ্জে একই সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় হয়। প্রতিদিন একই সময়ে একই সাথে ট্রেডিং শুরু হওয়ার ফলে বিনিয়োগকারী উভয় এক্সচেঞ্জ যাচাইবাছাই করে প্রতিযোগিতামূলক উপযুক্ত দরে তাদের চাহিদা মাফিক শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। ডিএসই অপেক্ষা সিএসইর শেয়ার ভলিয়্যুম ৫ শতাংশের মত। ট্রেডিং কার্যক্রম ও ভলিয়্যুমের দিক থেকে সিএসইর অবস্থান বিবেচনা করলে ভলিয়্যুমের স্বল্পতা এবং সকল ব্রোকারদের অংশগ্রহণ সীমিত হওয়ার কারণে প্রারম্ভিক ট্রেডিং-এ শেয়ার প্রাইস ডিসকভারি বাধাগ্রস্ত হবে। উভয় এক্সচেঞ্জে পৃথক ট্রেডিং সময়সূচির ফলে দ্বৈত সদস্য কোম্পানিগুলোতে ট্রেডিং সেবা ও কার্যক্রম ব্যাহত হবে এবং হাউজগুলোতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়ে বাজার ও বিনিয়োগকারীর আস্থায় এবং সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
ডিবিএ জানায়, দীর্ঘসময় ধরে আমাদের বাজারে বিনিয়োগকারীর আস্থার কারণে মন্দা বিরাজ করছে। দীর্ঘ এ মন্দার ফলে বিনিয়োগকারীসহ বাজার অংশীজন ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে। তাই বিনিয়োগকারী ও বাজারের স্বার্থে সিএসইর নতুন ট্রেডিং সময়সূচির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে বিদ্যমান সময়ে সকাল ১০টায় বহাল রাখার জন্য সিএসই পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করছি। এ বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং সিএসই প্রদত্ত নতুন ট্রেডিং সময়সূচির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ করছি।
মন্তব্য করুন