কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জলবায়ু ন্যায্যতার জন্য সম্মিলিত উদ্যোগের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

পরিবেশ অধিদপ্তরের আগারগাঁও কার্যালয়ে ‘প্যারিস চুক্তির অনুচ্ছেদ ৬ বাস্তবায়ন বিষয়ক সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মশালা‘তে বক্তব্য দেন পরিবেশ উপদেষ্টা। ছবি : সংগৃহীত
পরিবেশ অধিদপ্তরের আগারগাঁও কার্যালয়ে ‘প্যারিস চুক্তির অনুচ্ছেদ ৬ বাস্তবায়ন বিষয়ক সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মশালা‘তে বক্তব্য দেন পরিবেশ উপদেষ্টা। ছবি : সংগৃহীত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একতাবদ্ধভাবে কাজ করা জরুরি।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তরের আগারগাঁও কার্যালয়ে প্যারিস চুক্তির অনুচ্ছেদ ৬ বাস্তবায়নবিষয়ক সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মশালাতে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখা। এ লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। এই সংকট আমাদের ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষা পূরণে অনুপ্রেরণা জোগাবে।

বাজারভিত্তিক সমাধানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কার্বন বাণিজ্যের মাধ্যমে নির্গমন কমানোর সুযোগ থাকলেও এটি কার্যকর করতে সুশাসন ও দক্ষতা বাড়ানোর প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজম (সিডিএম) প্রকল্পগুলো জ্বালানি খাতে গ্যাস নির্গমন কমাতে সহায়ক হতে পারে।

তিনি বায়ুদূষণের প্রভাব, বিশেষত গ্রামীণ নারীদের ওপর, যারা অনুন্নত চুলা ব্যবহার করেন, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সামান্য বিনিয়োগে বায়ুর মান উন্নয়ন ও জীবন রক্ষা করা সম্ভব। সরকারের লক্ষ্য জীবন রক্ষায় বিনিয়োগ করা, বিলাসবহুল অবকাঠামো নির্মাণ নয়।

জলবায়ু ন্যায্যতা প্রসঙ্গে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি অবশ্যই নির্গমন কমানোর ওপর কেন্দ্রিত হওয়া উচিত। প্যারিস চুক্তির অনুচ্ছেদ ৬ ও ৬.৪ বিশ্বব্যাপী কার্বন বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি করলেও এটি ন্যায্য দায়িত্ব ভাগাভাগির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বন রক্ষা ও উপকূলীয় অঞ্চল সবুজায়নে অগ্রগামী। এর মাধ্যমে শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা নয়, বৈশ্বিক কার্বন বাজারেও অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তবে জলবায়ু ন্যায্যতা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, যা ১৯৯২ সাল থেকে শুরু হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন, জাপানের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সেতোরু আইইনো, দক্ষিণ কোরিয়ার ট্রেড প্রতিনিধি সামসু কিমসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হবিগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

তামাক নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠনের নির্দেশ স্বাস্থ্য সচিবের

দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা ৫০ হাজার

গুচ্ছ থেকে বের হলো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

সেঞ্চুরির আক্ষেপ নেই, ছক্কার রেকর্ডে খুশি তামিম

কমেছে এলপিজির দাম

আগ্রাসন প্রতিরোধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে : শেখ বাবলু

বিএনপি নেতার ‘ফেস্টুন ছিঁড়ে’ দুই ছাত্রদল কর্মী ধরা

ট্রাম্পের শপথের পর ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর হিড়িক

সরকারকে কড়া বার্তা দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

১০

স্কুলের ইট চুরি করলেন সেই আ.লীগ নেতা

১১

যুক্তরাষ্ট্রে জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

১২

নোয়াখালীতে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে প্রকাশনা উৎসব

১৩

নতুন বাংলাদেশে চাঁদাবাজদের ঠাঁই নেই : ইমতিয়াজ আলম

১৪

বগুড়ায় ৬ জনকে কুপিয়ে জখম, যুবদল নেতা বহিষ্কার

১৫

ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সিতে থাকবে পাকিস্তানের নাম

১৬

বিদিশার বিরুদ্ধে সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ

১৭

হাসপাতালের উচ্চমূল্যে টেন্ডার পেতে চক্রান্ত, ছড়ানো হচ্ছে অপতথ্য

১৮

ভাতের হোটেলে কাজ করতেন মেডিকেলে চান্স পাওয়া আল আমিন

১৯

কম সুদর্শন স্বামীদের সঙ্গেই নারীরা বেশি সুখী, বলছে গবেষণা

২০
X