বিমানে বোমা আতঙ্কের মিথ্যা সংবাদে জড়িতদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বুধবার (২২ জানুয়ারি) তিনি এ কথা জানান।
এর আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বোমা আতঙ্কে বিমানবন্দরে অবতরণ করা বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটিতে বোমা-সদৃশ কোনো ধরনের বস্তু পাওয়া যায়নি।
বিমানবন্দরের এই কর্মকর্তা জানান, অবতরণের পর পুরো বিমানে তল্লাশি করেও কোনো ধরনের বোমা বা বোমাসাদৃশ্য বস্তু পাওয়া যায়নি। যাত্রীদের সব ব্যাগেজও পরীক্ষা করা হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে বুধবার সকালে ইতালির রোম থেকে ঢাকায় আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বোমা রয়েছে, এমন আতঙ্কে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়। বিমান বাংলাদেশের বিজি-৩৫৬ নম্বর ফ্লাইটটিতে বোমা থাকার আতঙ্কে এই সতর্কতা জারি করা হয়।
জানা যায়, এয়ারপোর্টে এএসপি আব্দুল হান্নান রনির ফোনে পাকিস্তানের একটি নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন আসে। যেখানে বলা হয়, বিমানের ওই ফ্লাইটটিতে ৩৪ কেজি বিস্ফোরক রয়েছে। এর ভিত্তিতে রোম থেকে আসা ফ্লাইটটি অবতরণের সময় বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, রোম থেকে ঢাকায় আসার পথে বিমান বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিমানের ওই ফ্লাইটে কেউ বা কোনো যাত্রী বোমা বিস্ফোরণের হুমকি দিয়েছে। এ অবস্থায় সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
পরে বিমানে থাকা ২৫০ যাত্রী ও ১৩ ক্রুকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়। এরপর বিমানটিকে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একপর্যায়ে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট বিমানটির ভেতরে তল্লাশি চালায়। এ ঘটনায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন