ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার নানা ক্ষেত্রে সংস্কারে অনেকগুলো কমিশন গঠন করলেও শিক্ষায় তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্নও তুলেছেন শিক্ষক সমাজ ও রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা। তবে আপাতত শিক্ষা সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো কমিশন করার চিন্তা-ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে পরিকল্পনা কমিশনে শিক্ষা বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব)-এর নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
এসময় ইরাবের সভাপতি ফারুক হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমান, ইরাবের সাবেক সভাপতি সাব্বির নেওয়াজ, নিজামুল হক, শরীফুল আলম সুমনসহ সংগঠনটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, শিক্ষা প্রশাসনকে আগে অন্তত দুর্নীতি কমাতে হবে এবং স্থির অবস্থায় আনতে হবে। কারণ এখানে সব বদলি হচ্ছে। তারপর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কম্পোনেন্টে বহুকিছু মেরামত করতে হবে। তারপর আমি যদি থাকি তখন আমার শেষ দিকে সবগুলো মিলে একটা ‘শিক্ষা উপদেষ্টা পরিষদ’ হয়ত একটা তৈরি করে দেবো। তবে ‘শিক্ষা কমিশন’ বললেই আগের ব্যর্থ শিক্ষা কমিশনের কথা মনে হয়। তাই আমি এটাকে ‘শিক্ষা কমিশন’ বলতে চাচ্ছি না।
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রশাসনের দুর্নীতি একদিনে সমাধান করা সম্ভব না। আমি মন্ত্রণালয়ে একবার বলেছি, সেটাকে দুর্নীতি মুক্ত করতে চাই। সেটি মন্ত্রণালয়ের সবাই শুনেছে। কিন্তু শিক্ষার অধিদপ্তরগুলোতে যায়নি। সেখানে গিয়ে প্রথমে একটি সতর্ক দিতে হবে। তারপর দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে একটি উদাহরণ তৈরি করতে হবে।
মন্তব্য করুন