সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের অধীনে করা সব মামলা প্রত্যাহার হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে সাইবার সিকিউরিটি আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে।
এ সময় আসিফ নজরুল বলেন, দেশের ২৫টি জেলায় আড়াই হাজার রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বা গায়েবি মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব মামলায় লাখ লাখ মানুষ আসামি। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহার করা হবে।
এর আগে উচ্চ আদালতে রাজনৈতিক বিবেচনায় বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, এখন থেকে বিচারক নিয়োগ হবে দক্ষতার ভিত্তিতে এবং দল নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে। বিচারক নিয়োগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ করা হচ্ছে।
এদিকে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকারীরা আবার ক্ষমতায় আসুক, দেশের অধিকাংশ জনগণ তা চায় না। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আরএফইডি টক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, গণহত্যাকারীরা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। পাশাপাশি বিগত ৩টি নির্বাচন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ তিন নির্বাচন কমিশনকে বিচারের আওতায় আনতে তদন্ত কমিশন গঠনেরও সুপারিশের কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, কাউকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাই- যে অন্যায় করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম বলেন, একটি তদন্ত কমিশন গঠন করার মাধ্যমে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে কারচুপিতে সহায়তাকারীদের বিচার করা হোক। তখনকার কমিশন অন্যায় করলে তাদেরও বিচার হবে। কেউ চায় না অতীতের জায়গায় ফিরে যাক। অতীতের কারচুপি এবারের নির্বাচনে পুনরাবৃত্তি চাই না।
মন্তব্য করুন