‘ছেলেকে কিডনি দিতে চেয়েও টাকার অভাবে পারছেন না মা’- এ শিরোনামে গত ১৭ ডিসেম্বর কালবেলার ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে একটি নিউজ প্রচার করা হয়। সংবাদটি দেখে দুটি কিডনি বিকল হওয়া লক্ষ্মীপুরের কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ছাত্র শোভন চন্দ্রের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী, ম্যানহাটনের ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যরা।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র নিউইয়র্কের ম্যানহাটন ডাউনটাউন বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন ইউএসএ ইনক’র সিনিয়র সহসভাপতি ও লক্ষ্মীপুর ডিস্ট্রিক্ট সোসাইটি ইউএসএ ইনক’র জেনারেল সেক্রেটারি মো. নূর হোসেন লিটনের উদ্যোগে ব্যবসায়ী সদস্যদের পক্ষ থেকে শোভনের কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য এক লাখ ৫০ হাজার ৪৪৬ টাকা অনুদানের চেক প্রদান করা হয়েছে।
শোভনের সুস্থতা কামনা করে সংগঠনের সদস্যদের পক্ষ থেকে মো. নূর হোসেন লিটন বলেন, তার মমতাময়ী মা কিডনি দান করার পরও কিডনি প্রতিস্থাপন করতে প্রায় ১৬/১৭ লাখ টাকার প্রয়োজন। সেই অনুপাতে এক লাখ ৫০ হাজার ৪৪৬ টাকা খুবই সামান্য। তাই শোভনের চিকিৎসার জন্য দেশের হৃদয়বান মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
সংগঠনের সভাপতি তরিকুল হোসাইন বাদল, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল কাদির লস্কর মিঠু, এম আজিজ হিরো, নির্বাচন কমিশনার কামরুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম মিঠুসহ যারা শোভনের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করেছেন তাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
শোভন চন্দ্র রায়ের বাবা স্বর্ণকার দীলিপ চন্দ্র কুরী বলেন, আমার ছেলের দুটি কিডনিই ড্যামেজ হয়ে গেছে। গত কয়েক মাস ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এখন ডাক্তার বলেছেন, ছেলেকে বাঁচাতে হলে দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। কালবেলায় নিউজটি প্রচার হওয়ার পর অনেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তবে এখনো সেটি চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে বা কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য যথেষ্ট নয়। আমার মতো গরিব মানুষের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা অসম্ভব। আমি সমাজের বৃত্তবানদের কাছে ছেলেটির জীবন বাঁচাতে সাহায্য চাচ্ছি।
সাহায্য পাঠাতে চাইলে-
সজল চন্দ্র রায় ব্যাংক একাউন্ট নম্বর, ইসলামী ব্যাংক লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জ শাখা, হিসাব নং- ২০৫০৩৩৫০২০০৬৪৪১১৪ এবং বিকাশ নম্বর- ০১৮১৫ ৭২৫ ৪০০ (পারসোনাল)।
মন্তব্য করুন