যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ব্যবহার করে বঙ্গোপসাগরের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। আর তা হলে এই অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকার উদ্দেশ্য বাংলাদেশে নির্বাচন না, এদের উদ্দেশ্য গণতন্ত্র না। আমাদের গণতন্ত্রের নাম দিয়ে, নির্বাচনের নাম দিয়ে, এ দেশে এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়, যাতে করে ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগরের জায়গাটা ব্যবহার করতে পারে। এটা ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে আক্রমণ করা এবং দেশগুলোকে ধ্বংস করা, এটাই হচ্ছে কারও কারও উদ্দেশ্য। সে উদ্দেশ্য নিয়েই তাদের এত টালবাহানা। এই এলাকাটাকে নিয়ে নানাভাবে খেলার চক্রান্ত চলছে ‘
তিনি বলেন, ‘এরা বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চায়। পার্বত্য চট্টগ্রামে ৩০ বছর ধরে যেটা সংঘাত ছিল, আমি সরকারে আসার পর সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনি। সেখানে এখন নানারকম অশান্তি সৃষ্টির প্রচেষ্টা চলছে। যেহেতু আমি জানি, আমি বুঝি, আমাকে কীভাবে ক্ষমতা থেকে সরাবে। তাদের কিছু কেনা গোলাম আছে, তাদের বসিয়ে এ জায়গাটা নিয়ে খেলবে, এটাই তাদের প্রচেষ্টা।’
অগণতান্ত্রিক শক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সে দেশের নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আমেরিকায় যখন গিয়েছিলাম, তখন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে আমার কথা হয়। তখন জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনারা তাদের সাপোর্ট দেন কীভাবে? আপনাদের গণতন্ত্র কি আটলান্টিকের পাড় পর্যন্ত থাকে? আটলান্টিক পার হলেই আপনাদের গণতন্ত্রের সংজ্ঞা কি বদলে যায়?
‘তাদের কাছে আমার প্রশ্ন-২০০১ সালের নির্বাচনে যখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্বিচারে অত্যাচার করা হলো, কত মানুষকে খুন করেছে, হাত কেটে, চোখ তুলে নিয়েছে, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, পুড়িয়ে ফেলেছে, তখন তাদের কথা হয়নি কেন? সেই নির্বাচনটা আমাদের হারার কথা না, আমাদের জোর করে হারান হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি বক্তব্য রাখেন। সভা পরিচালনায় ছিলেন দলের প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপপ্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম।
মন্তব্য করুন