দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারও দানে পাওয়া নয়। প্রিয় মাতৃভূমির এক চুল মাটিও কাউকে ছুতে দেওয়া হবে না। এই বাংলা আমার অহংকার। নিজের সেই অহংকার অস্তিত্ব ধরে রাখতে আগে-পিছে না ভেবে জিবিজির সাথে নেমে পড়েন এক কৃষক। হাতে একটা কাস্তে, পরনে লুঙ্গি, কিছুটা নীচু হয়ে বসে আছেন, তীক্ষ্ণ রক্তচক্ষু ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর দিকে। যেন বাংলাদেশ নামের প্রিয় মায়ের দিকে চোখ তুলে তাকালেই সব শেষ করে ফেলবে সে। মাতৃভূমির প্রতি, এতো প্রেম, এতো ভালোবাসা ভরা তার এই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। রীতিমত হিরো বনে গেছেন তিনি।
কেউ ক্যাপশনে লিখেছেন মাতৃভূমি না হয় মৃত্যু। আবার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন, বিনা যুদ্ধে নাহি দিব, সূচ্যগ্র মেদিনী’। ২০২৪ পরবর্তী বাংলাদেশকে আর কেউ গোলামির জিঞ্জিরে বন্দি করতে পারবে না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মধ্যে দুইদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরইমধ্যে ওই সীমান্তে দুই দফা পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। উভয় পক্ষই সীমান্তে বতর্মানে সর্তকাবস্থানে রয়েছে।
জানা গেছে, আর্ন্তজাতিক সীমান্ত পিলার এলাকায় কয়েক মাস আগে সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ৫০ গজ এগিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারত একটি কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করে। সেই রাস্তায় পাশে পুনরায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করার সময় তৈরি হয় এই উত্তেজনা।
নিজেদের মাতৃভূমিকে রক্ষায় বিজিবির সাথে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থায়ী বাংলাদেশি বসবাসকারীরা। বিজিবির সঙ্গে দিনব্যাপি অবস্থান করতে দেখা গেছে। একইভাবে, ভারতীয় নাগরিকদেরও বিএসএফের সঙ্গে অবস্থান নিতে দেখা যায়। একে কেন্দ্র করে এই সীমান্তসংলগ্ন দুই দেশের স্থানীয়রা পাল্টাপাল্টি স্লোগানও দেয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয় এবং বিজিবির সেক্টর কমান্ডারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, বিএসএফ কাম্পের সদস্যরা সীমান্ত ঘেষে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু করলে বিজিবির পক্ষ থেকে বাধা দেয়া হয়। এরপর সোমবার ও মঙ্গলবার উভয়পক্ষের মধ্যে পতাকা বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। দুই দেশের বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
মন্তব্য করুন