গণবিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী সমাজবিপ্লবী ছিলেন। তিনি শুধু রাষ্ট্রের স্বাধীনতা নয় মানুষের স্বাধীনতা চেয়েছিলেন।’
মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) গণবিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে নিয়ে রচিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রাণপুরুষ ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা ডা. জাফরুল্লাহর চৌধুরীর ৮৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আদ্যোপান্ত একজন বাংলাদেশি ছিলেন। তিনি ইচ্ছে করলে অনেক বড় সার্জন হতে পারতেন, বিত্তবান মানুষ হতে পারতেন কিন্তু তিনি তা না হয়ে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জনগণের জন্য যুদ্ধ করে গেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে সামাজিক মালিকানা করে গেছেন। মোট কথা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জনগণকে সম্পৃক্ত করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো বহুমুখী প্রতিভাবান এই মানুষটিকে নিয়ে গবেষণা করতে হবে। তার কাজকে মূল্যায়ন করতে হবে, তার আদর্শকে অনুধাবন করতে হবে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জীবিত থকালে বর্তমান রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতেন বলেও দাবি করেন তিনি।
গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. আবুল কাসেম চৌধুরী বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিকল্প চিন্তার মানুষ ছিলেন। তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন গরিবের উন্নয়ন না হলে রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য তিনি সারাজীবন হতদরিদ্র ও পশ্চাৎপদ মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছেন।
গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মনসুর মুসা।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরীর সহধর্মিণী ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি শিরীন হক, ছেলে বারিশ চৌধুরী, মেয়ে বৃষ্টি চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা উপস্থিত ছিলেন। গণবিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
মন্তব্য করুন