৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক সুপারিশকৃত ২১৬৩ প্রার্থীর মধ্যে ২২৭ প্রার্থীর সম্পর্কে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বিরূপ মন্তব্য থাকায় তাদের নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৯ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বৈঠকে বসবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
রোববার (৫ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. উজ্জল হোসেন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন কর্তৃক সুপারিশকৃত ২১৬৩ (দুই হাজার একশ তেষট্টি) প্রার্থীর মধ্যে ১৮৯৬ (এক হাজার আটশত ছিয়ানব্বই) প্রার্থীর নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ২২৭ (দুশ সাতাশ) প্রার্থীর সম্পর্কে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বিরূপ মন্তব্য থাকায় তাদের নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। ওই প্রার্থীরা তাদের নিয়োগের বিষয় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে আগামী ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সভাপতিত্বে তার সভাকক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সাময়িকভাবে ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীকে মনোনীত করে গত বছরের ২৫ জানুয়ারি সুপারিশ করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)। BCS Recruitment Rules, 1981-এর Rule-4 এর বিধান মোতাবেক বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রার্থীদের প্রাক-চরিত্র যাচাই-বাছাই আন্তে সুপারিশকৃত ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর মধ্য থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ এবং এজেন্সি রিপোর্ট বিবেচনায় সাময়িকভাবে ৫৯ জনসহ মোট ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে ২ হাজার ৬৪ প্রার্থীর অনুকূলে ১৫ অক্টোবর নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণে এ নিয়োগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এজন্য সব সমালোচনার ঊর্ধ্বে থেকে Clean image-এর প্রার্থী নির্ধারণে এবং সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার নিমিত্তে ৪৩তম বিসিএসের সুপারিশকৃত ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর বিষয়ে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং ডিজিএফআইর মাধ্যমে প্রাক-চরিত্র পুনরায় অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এনএসআই এবং ডিজিএফআই থেকে ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর উপযুক্ততা/অনুপযুক্ততা বিষয়ে প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২২৭ প্রার্থীর প্রাক-চরিত্র বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য (আপত্তি/অসুপারিশকৃত) পাওয়া যায়। ২২৭ প্রার্থীর বিষয়ে বিরূপ মন্তব্যের কারণে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয় এবং তাদের বিষয়ে অধিকতর যাচাই-বাছাই ও খোঁজখবর নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জনকে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয়।
এমন অবস্থায় সুপারিশকৃত ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর মধ্য থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিবেচনায় সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত ২২৭ জনসহ ২৬৭ জনকে বাদ দিয়ে অবশিষ্ট ১ হাজার ৮৯৬ প্রার্থীকে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করে গত ৩০ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
মন্তব্য করুন