কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৫ পিএম
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

একদিনেই দুদকের ৫ অভিযান

দুদকের অভিযান। ছবি : কালবেলা
দুদকের অভিযান। ছবি : কালবেলা

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে বুধবার (১ জানুয়ারি) ৯টি অভিযোগের বিষয়ে ৫টি অভিযান ও ৪টি দপ্তরে পত্র প্রেরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

অভিযান ০১ : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে ছদ্মবেশে রাজউকের প্লট ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তথ্য সংগ্রহকালে প্লট ক্রয়-বিক্রয়ের বিষয়ে রাজউক কর্মচারীদের যোগসাজশে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের নিকট থেকে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহণের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এ ছাড়া, প্লট বরাদ্দ, প্রাপকদের নথি গায়েব ও বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রবাসী মালিকদের ছবি পালটিয়ে ভুয়া মালিক সাজিয়ে প্লট বিক্রয়ের অভিযোগের সত্যতা অভিযান পরিচালনাকারী টিমের নিকট প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। টিম জানতে পারে, নথি গায়েবের বিষয়ে জড়িত কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরে পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) -এর নিকট থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্লটসমূহের বিষয়ে রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়। রেকর্ডপত্রসমূহ বিশ্লেষণপূর্বক কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

অভিযান ০২ : গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের মাইজকান্দি গ্রামের ৩টি ব্রিজ ও জেলা পরিষদ, গোপালগঞ্জ -এ ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ না করে বিল উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, গোপালগঞ্জ থেকে আজ এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের শুরুতে ওড়াকান্দি ইউনিয়নের মাউজকান্দি গ্রামের ৩টি ব্রিজ সরেজমিনে পরিদর্শন করে অ্যাপ্রোচ সড়ক না থাকার বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়। ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক না থাকায় ব্রিজ থেকে পড়ে গিয়ে একজন ভুক্তভোগীর বাম পা কেটে ফেলতে হয়েছে মর্মে টিম নিশ্চিত হয়। পরবর্তীতে জেলা পরিষদ, গোপালগঞ্জ থেকে উক্ত কাজের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মাইজকান্দি গ্রামের ৩টি ব্রিজসহ রাস্তা নির্মাণকাজের জন্য ৮৫ লক্ষ টাকার অধিক চূড়ান্ত বিল প্রদান করা হয়েছে। নথিপত্র বিশ্লেষণে উক্ত ৩টি ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ না করে বিল দাখিল করে উক্ত অংশ বাবদ ৬ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা বিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হয়েছে মর্মে ডকুমেন্ট পাওয়া যায়। অর্থাৎ ৭৮ লক্ষ টাকার বিল কাজ না করেই উত্তোলন করা হয়েছে মর্মে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। অভিযানকালে প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে কমিশনের সিদ্ধান্ত চেয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

অভিযান ০৩ : জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট গড়ে তুলে প্লট-ফ্ল্যাট দখল, প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি এবং কমিশন বাণিজ্য করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে মিরপুরে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা ডিভিশন-১ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন আবাসন প্রকল্প পরিদর্শন করে এবং অভিযোগে উল্লিখিত বিভিন্ন বেদখল হওয়া জায়গা পরিদর্শন করে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পায়। পরবর্তীতে এনফোর্সমেন্ট টিম নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা ডিভিশন-১ ও নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়, মিরপুর গৃহসংস্থান বিভাগ-২ থেকে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। রেকর্ডপত্র বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ সাপেক্ষে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।

অভিযান ০৪ : কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ -এর অথরাইজড অফিসারদের বিরুদ্ধে বিল্ডিং নির্মাণ কোড না মেনে নকশা অনুমোদন, বিশাল অঙ্কের লেনদেনের বিনিময়ে অনুমোদনহীন ভবনকে নোটিশ প্রদান না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কক্সবাজার থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে উক্ত অফিসের সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য সংগ্রহ করে দুদক টিম। ভুক্তভোগী ১ জনের সঙ্গে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে তার কাছ থেকে ঘুষ দাবি করা হয়। তৎপ্রেক্ষিতে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। রেকর্ডপত্র বিস্তারিত বিশ্লেষণপূর্বক কমিশনে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

অভিযান ০৫ : নির্বাহী প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণে নিম্নমানের কাজ করাসহ নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুমিল্লা থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে টিম শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে বাস্তবায়নকৃত অভিযোগে বর্ণিত কয়েকটি প্রকল্প সরেজমিন পরিদর্শন করে এবং তৎসংলগ্ন রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। কাজের মান বিশেষজ্ঞ টিম কর্তৃক পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কাকরাইল মসজিদ থেকে ইজতেমার তারিখ ঘোষণা

নেত্রকোনায় নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

পুলিশের গুলিতে সন্তান হারিয়ে দিশাহারা রাকিবের পরিবার

রেললাইনের পাশে পড়ে ছিল স্বামী-স্ত্রীর খণ্ডিত লাশ

ঢাবির বিজয় একাত্তর হলের ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব গ্রেপ্তার

পরকীয়ার বলি শিশু আমেনা হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

‘বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে’

বেরোবিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবিতে আলটিমেটাম

টেকনাফে ফাঁকা গুলি ছুড়ে ফের অপহরণ

১০

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ৩১৬৪ মামলা

১১

তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল

১২

প্রেসক্লাব চৌগাছার সভাপতি জাফর, সেক্রেটারি আজিজুর

১৩

রামেক হাসপাতালে কয়েদির মৃত্যু

১৪

টাঙ্গুয়ার হাওরে পাখি শিকারিদের উৎপাত, ব্যবস্থা নিল প্রশাসন

১৫

১৪ ঘণ্টার ব্যবধানে চাচা-ভাতিজি নিহত

১৬

বিপিএল ২০২৫ / ঢাকা পর্ব শেষে কে কোথায় দাঁড়িয়ে?

১৭

পান্তের ঝড়ো ইনিংসের পর বোলান্ডের দাপটে সমতায় সিডনি টেস্ট

১৮

অঞ্জনার মৃত্যু নিয়ে রহস্য

১৯

জাতীয় দলে ফেরার কোনো পরিকল্পনা নেই তামিমের

২০
X