অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস উইং জানায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা জনগণের ঐক্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা ও রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে সুসংহত রাখার জন্য এ ঘোষণাপত্রটি গৃহীত হবে।
প্রেস উইং আরও জানায়, গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্রটি প্রস্তুত করা হবে। এতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিত, ঐক্যের ভিত্তি ও জনগণের অভিপ্রায় ব্যক্ত হবে। আমরা আশা করছি, সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে কিছুদিনের মধ্যেই সর্বসম্মতিক্রমে এ ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।
এর আগে, রোববার (২৯ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রকে আমরা বেসরকারি উদ্যোগ হিসেবে দেখছি। এর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, এটা একটা প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ। আমরা প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ হিসেবে দেখছি। এটাতে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ঘোষণা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আমাদের পক্ষে কিছু বলা সম্ভব না।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর ৩১ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একের পর এক রহস্যজনক স্লোগান লিখেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা। ফলে সেদিন কী হতে যাচ্ছে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। পরে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করার কথা জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মন্তব্য করুন