কালবেলার মোজো রিপোর্টার আব্দুর রহমান মাহিনকে মারধরের ঘটনায় এশিয়ান টিভির বহিষ্কৃত সাংবাদিক এবং ডিআরইউ সদস্য এনামুল হক মণ্ডলকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগী মাহিনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা ডিআরইউ কার্যালয়ে গিয়ে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বরাবর এ অভিযোগ দেন।
অভিযোগ পত্রে মাহিন উল্লেখ করেন, আমি আব্দুর রহমান মাহিন, দৈনিক কালবেলার মোজো রিপোর্টার। গত শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিএনপি নেতা কায়কোবাদের দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে নিউজ কভার করছিলাম। তখন এশিয়ান টিভির সাংবাদিক এবং ডিআরইউ সদস্য এনামুল হক আমার পাশে এসে দাঁড়ায় এবং আমাকে সরে যেতে বলে। আমি লাইভে যুক্ত আছি বললে সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আমি উঠে তার পরিচয় জানতে চাইলে আমাকে মারধর করে। তখন সেখানে উপস্থিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সহকর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে আমি বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় এনামুল হক আরও ৬ থেকে ৭ অপরিচিত সন্ত্রাসীকে নিয়ে আমার ওপর আবারও অতর্কিত হামলা চালায় ও আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি মারতে থাকে। এ সময় আমার চোখে গুরুতর আঘাত করে। একই সঙ্গে আমার মুখে বারবার ঘুসি মেরে মুখ ফাটিয়ে দেয়। ফলে মুখ ও নাক থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। পরিস্থিতি দেখে সাধারণ জনতা এনামুল ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীদের আটক করে।
পরে আমার অফিস বিষয়টি জানতে পারলে অফিস থেকে সহকর্মী এবং অন্যান্য গণমাধ্যমের সহকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাকে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউটে রেফার করে দেয়। বর্তমানে আমি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছি। আমার চোখ এবং কানের অবস্থা গুরুতর। আমি যতদূর জানতে পেরেছি এ ঘটনায় এশিয়ান টিভি থেকে এনামুল হককে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু সে ডিআরইউর পরিচয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। উল্টো আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিচ্ছে। একই সঙ্গে ডিআরইউর সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে এমনকি ডিআরইউর নেতাদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভয় প্রদর্শনমূলক কাজ করছে।
এমতাবস্থায়, এনামুল হকের এসব কর্মকাণ্ড ডিআরইউর শৃঙ্খলা পরিপন্থি বলে বিশ্বাস করি। এজন্য যাতে ডিআরইউর নাম ভাঙিয়ে আর অপরাধমূলক কাজ করতে না পারে সেজন্য তাকে ডিআরইউ থেকে আজীবন বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন