তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আন্দোলনের নামে যারা চাকরিবিধি লঙ্ঘন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নিয়ে আগামী সপ্তাহেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের ব্যাপক জনসমর্থন থাকলেও সরকারের প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের বক্তব্য শুনতে পারছি। তারা একধরনের হুমকি দিচ্ছেন। এটার সাহস তারা পেয়েছেন বিগত সময়ে। সেই সময় দেখেছি আমলাতন্ত্রকে শক্তিশালী করা হয়েছে। আমলাতন্ত্র-নির্ভরতাকে কাজে লাগিয়ে ফ্যাসিজম তৈরি করা হয়েছে।’
এ সময় সঞ্চালক সাইয়েদ আবদুল্লাহ প্রশ্ন করে বলেন অভিযুক্ত আমলাদের বিরুদ্ধে সরকার দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না?
জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা নিয়ে আজও (শুক্রবার) বৈঠক করেছি। আগামী সপ্তাহে কঠোর পদক্ষেপ আসবে। যারা আন্দোলনের নামে চাকরিবিধি লঙ্ঘন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আমলাদের বলছি, এখন সময় জনগণকে সেবা দেওয়ার। গণতান্ত্রিক ট্রানজিশনটা সঠিকভাবে করার সহযোগিতা করার। আন্দোলন আন্দোলন খেলা কিংবা গোষ্ঠী স্বার্থ রক্ষার জন্য এত মানুষ জীবন দেয় নাই।’
রাষ্ট্রের সংস্কার হলে সবাই ন্যায় বিচার পাবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংস্কারে তাদেরও মত থাকবে, তাদের কথা শোনা হবে। সংস্কার সুপারিশে তাদের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, এটা তাদের নৈতিকভাবে ঠিক হয়নি। তারা বিধিগতভাবেও লঙ্ঘন করেছেন। বিগত রেজিমের আমলারা নানাভাবে লুকিয়ে আছেন, তাদের চিহ্নিত করেছি। তাদের বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের ইতিবাচক সৌহার্দ্য ও ঐকমত্য আছে জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘পাশাপাশি সরকারে ভুল ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে তারা সমালোচনা করছে। সেগুলো আমরা যাচাই করার চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পরে যে ধরনের সরকার গঠিত হয়েছে, তা ডিফাইন করা যাচ্ছে না। এক অর্থে সরকার সাংবিধানিক সরকারও নয়, আরেক অর্থে বৈপ্লবিক সরকারও নয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্তর্বর্তী সময় পার করছে।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সরকার ঐক্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আমরা সংস্কারকে এ জন্য গুরুত্ব দিয়েছি, যা গত ১৫ বছর ধরে রাজনৈতিক দলগুলো বলেছিল।’
মন্তব্য করুন