গত বুধবার মধ্যরাতে বাংলাদেশ সচিবালয়ের একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। যার ফলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের বেশ কিছু কক্ষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আগুন এবং তা নেভানোর কাজে ব্যবহৃত পানির কারণে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা আপাতত সম্ভব নয়। এ অবস্থায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দগ্ধ ভবন পরিদর্শন করেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদী জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে যান এবং ভবনের বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বিভিন্ন কক্ষ ব্যবহার করে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে জানা গেছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অধীনে প্রতিষ্ঠান। ক্রীড়ামন্ত্রী জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব ক্রীড়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। দুজনেরই ক্রীড়া পরিষদে নিজ নিজ অফিস কক্ষ রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রাথমিক একটি খসড়া পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সচিব মহোদয় সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে সাময়িকভাবে স্থানান্তর করা হবে। আজ একটি খসড়া পরিকল্পনা হয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বাস্তবায়ন হবে।’
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ষষ্ঠ তলার কনফারেন্স কক্ষ, নবম তলার মিনি সভাকক্ষ এবং শূন্য থাকা পরিচালক কক্ষগুলো সাময়িকভাবে মন্ত্রণালয়ের ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া সপ্তম তলার কিছু কক্ষ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য ব্যবহৃত হবে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ দেশের ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে এবং এটি সব ফেডারেশন ও ক্রীড়া সংস্থার অভিভাবক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে। এর প্রশাসনিক ভবনের বেশ কিছু তলা বাণিজ্যিকভাবে ভাড়ায় দেওয়া হলেও, অগ্নিকাণ্ডের পর নতুন ব্যবস্থাপনায় তাৎক্ষণিকভাবে কিছু কক্ষ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পাশাপাশি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার বিকল্প পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠানগুলো—জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, ক্রীড়া পরিদপ্তর, বিকেএসপি এবং ক্রীড়া কল্যাণ সেবী ফাউন্ডেশন—তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক কার্যক্রমে সহায়তা করবে।
অগ্নিকাণ্ডে সৃষ্ট জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত মন্ত্রণালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসার জন্য সংশ্লিষ্টরা কাজ করে যাচ্ছেন। এ পরিস্থিতি ক্রীড়া খাতের সার্বিক কার্যক্রমের ওপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন