ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী বলেছেন, অপরাধ ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে জনগণ অন্যতম সহায়ক শক্তি। সেই সহায়ক শক্তি আপনারা পাশে থাকলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ অনেক সহজ হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর ) সকালে ধানমন্ডির স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে সিটিজেন ফোরামের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগরের প্রতিটি থানাতেই আমরা যাচ্ছি। সম্মানিত নাগরিকগণের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। আপনাদের কাছ থেকে আমরা মতামত, পরামর্শ নিচ্ছি যেন সামনের দিনগুলোতে পুলিশ কীভাবে কাজ করবে তার একটি রূপরেখা দাঁড় করানো যায়। এদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়, এদেশের মানুষ দেশপ্রেমিক। ৫ আগস্টের পর জনগণ পুলিশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ আইন ও বিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি সংস্থা। আমরা কেউই জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নই। আমরা কী করতে পারি, না পারি, আমাদের সমস্ত কার্যকলাপ জবাবদিহিতার মধ্যেই রয়েছে। আমাদের জবাবদিহিতা আপনাদের কাছে। আমরা আপনাদের কতটুকু নিরাপত্তা ও সেবা দিতে পারি এটাই আমাদের জবাবদিহিতা। আমরা নিপীড়ক পুলিশ হতে চাই না, আমরা জনগণের পুলিশ হতে চাই। আমরা আপনাদের সঙ্গে নিয়ে এই দেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে চাই।
সিটিজেন ফোরামের উদ্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, আপনাদের বাসায় ও প্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি রয়েছে তার ব্যাকআপ আছে কি না তা লক্ষ্য রাখতে হবে। যাতে পরবর্তীতে কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা সেই সিসিটিভির সহায়তা নিতে পারি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও ধানমন্ডি থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকরা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
সভায় উপস্থিত মেজবাহ উদ্দিন খান বলেন, মতবিনিময় সভা আয়োজনের জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা চাই প্রশাসন ও জনগণ একসাথে কাজ করুক। এতে মাদক ও চাঁদাবাজি নির্মূল করা সহজ হবে। আমরা আপনাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি।
মতবিনিময় সভায় ডিএমপির রমনা বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতারা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন