উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের কোটা কমাতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত এবং কর্মরত কর্মকর্তাদের যৌথ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
প্রতিবাদ সভায় আলোচকরা বলেন, মাননীয় কমিশন প্রধান সরকারের উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য বিদ্যমান ৭৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশ করার সুপারিশের বিষয় অবহিত করেছেন। উচ্চ আদালতে মীমাংসিত একটি বিষয়ে প্রদত্ত এ ধরনের বক্তব্য সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত, কমিশনের আওতা বহির্ভূত এবং সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের সাথে সাংঘর্ষিক। উপসচিব পদোন্নতিপ্রত্যাশী প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে কোন প্রকার মতবিনিময় বা পর্যাপ্ত বিচার-বিশ্লেষণ না করে প্রদত্ত উল্লিখিত সিদ্ধান্তে মাঠ প্রশাসনসহ সকল স্তরে কর্মরত বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন কমিশন প্রধানের এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানায়।
আলোচক আরও বলেন, কোটার বিরুদ্ধে শুরু হওয়া জুলাই বিপ্লব পরবর্তী গঠিত সংস্কার কমিশনের এই বক্তব্য জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট এবং কমিশন গঠনের উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক মর্মে প্রতীয়মান হয়। প্রকৃতপক্ষে একটি জনমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন বিনির্মাণের অংশ হিসেবে সার্ভিসের এন্ট্রি পদ থেকে শুরু করে সচিব পর্যন্ত পদগুলোর সমন্বয়ে একটি মেধাভিত্তিক এবং আধুনিক প্রশাসন ব্যবস্থার উপযোগী বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. আনোয়ার উল্ল্যাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সোহেল রানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজে সভাপতি শহীদুল ইসলাম, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন