শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে উচ্চ আদালতের ক্ষমতা ব্যবহার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, আদালত তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে শেখ হাসিনাকে শক্তিশালী করেছেন। এ জন্য দায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়া।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ : বিচার বিভাগ প্রসঙ্গ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্র সংস্কারের কথা উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, ঐকমত্য শক্ত থাকলে পরবর্তীতে কোনো রাজনৈতিক দল আসলেও যেসব বিষয়ে সংস্কার আসবে তা কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে আইন তৈরি করা, উচ্চ আদালতের আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, স্থায়ী প্রসিকিউশন গঠন করা। এ ছাড়া আইনের ভুলগুলো সংশোধন করা। যত ভালো আইনই তৈরি করা হোক না কেন সংস্কার মানার মানসিকতা না থাকলে, ভালো প্রতিষ্ঠান গড়তে না পারলে কোনো কিছুই কাজে আসবে না। বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাওয়া সম্ভব।
যেসব বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ও সংস্কার কমিশন সেসব সংস্কার কার্যকর করার মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
আদালত অবমাননার নামে প্রধান বিচারপতি হয়রানি করত বলে মন্তব্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টে বিচারকদের সিন্ডিকেটের কারণে মামলার ব্যয় বাড়ছে।
সরকারের যে কোনো দুঃশাসনের বিচার উচ্চ আদালত চাইলে করতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আদালত তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে শেখ হাসিনাকে শক্তিশালী করেছে। এ জন্য দায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়া। দেশে ৫ বছর পর পর নির্বাচন হলে কোনো দল ফ্যাসিস্ট হতে পারবে না।
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে উচ্চ আদালতে বিচার বিভাগীয় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনটি সংস্কার প্রস্তাবের ভিত্তিতে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হবে।
সিলেট সীমান্তে কলাগাছের পাতায় শুয়ে থাকা বিচারপতি মানিকের ছবিটা প্রতিটা বিচারকের পেছনে টাঙিয়ে রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্য বক্তারা।
মন্তব্য করুন