রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দেশের বাইরে আছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের সাবেক পাঁচবারের নির্বাচিত এমপি ও সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। অতি সম্প্রতি হাসিনার আমলে করা মিথ্যা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন তিনি। কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ আগামী ২৮ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন।
সাবেক এই মন্ত্রীর দেশে ফেরার খবর শুনে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে তার বাসায় সাক্ষাৎ করতে যান তুরস্কের সংসদ সদস্য ও রিপ্রোসপারিটি পার্টির নেতা ডগান বেকিন। পরে তিনি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করেছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় সপরিবারে কায়কোবাদের বাসায় গিয়ে কুশলবিনিময় করেন এ তার্কিশ এমপি। এ সময় ডগান বেকিন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। একই সঙ্গে যুক্তরাজ্যে নির্বাসনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খোঁজখবর নেন। খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং কায়কোবাদসহ সব নেতার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেন তুর্কি এমপি। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হওয়া হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক আগামীতেও অটুট থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে তুরস্ক আগামীতেও পাশে থাকবে বলে প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেন দুই নেতা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের খবরে মুরাদনগরসহ দেশের মানুষ আনন্দিত। কিন্তু তুরস্কের সামাজিক, রাজনৈতিক ও স্থানীয় অধীবাসীদের মাঝে বিরহ দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় অনেকের সঙ্গে সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তুর্কি এমপি কায়কোবাদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেছে তার প্রশংসা করেন।
ডগান বেকিন বলেন, বাংলাদেশের ছাত্রজনতার এই সম্মিলিত আন্দোলন ঐতিহাসিক এবং অনুপ্রেরণামূলক। পাশাপাশি শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বতী সরকারের প্রশংসা করেন তুর্কি এমপি।
মন্তব্য করুন