সরকার গণমাধ্যম নিয়ে মানুষের মতামত জানতে সারা দেশে জরিপ করবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ : গণমাধ্যম প্রসঙ্গ’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
কামাল আহমেদ বলেন, ‘গণমাধ্যমের পাঠক, দর্শক, শ্রোতার মতামত জরিপ হবে জানুয়ারির এক থেকে সাত তারিখ পর্যন্ত। মতামতের জন্য ৪৮ হাজার মানুষের কাছে যাওয়া হবে। জরিপের উদ্দেশ্য হচ্ছে-আমরা জানতে চাই মানুষ কোন মাধ্যমকে বিশ্বাস করে। পত্রিকা, অনলাইন, টেলিভিশন নাকি সোশ্যাল মিডিয়া। মানুষ কি প্রত্যাশা করে- সেটাও জানতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশে সরকারিভাবে কোনো মিডিয়া সার্ভে হয়নি।’
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত আমরা সবার মতামত শুনব। তারপর ফেব্রুয়ারিতে গিয়ে ৯০ দিনের শেষ ১৫ দিন একটানা ম্যারাথন মিটিং করে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে সুপারিশমালা পেশ করব। এটা হচ্ছে আমাদের পরিকল্পনা। আমরা কয়েকটি বিষয় দেখব, সংবাদপত্রের বর্তমান চেহারা কি, সংকট কি। আমরা দেখব বেসরকারি টেলিভিশন খাতের বর্তমান অবস্থা কি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারি রেডিও ও কমিউনিটি রেডিওর অবস্থা কি। তারপর দেখব বিটিভি, বাসসসহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো। আমরা দেখব সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে এমন কি কি আইন আছে। সেগুলো সংশোধনের প্রস্তাব করব। সাংবাদিকদের সুরক্ষা আইন বিষয়ে নতুন আইনের বিষয়ে বিবেচনায় আনব। সংবাদমাধ্যম জবাবদিহির আওতায় আনারও বিষয় রয়েছে।’
সংলাপে আরও বক্তব্য দেন- অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) চেয়ার মুনিরা খান, নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান, দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) মাহবুব মোর্শেদ, সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল প্রমুখ।
মন্তব্য করুন