কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে তদন্ত কমিশন। দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের কার্যক্রম ও আটক ব্যক্তিদের সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য তুলে ধরতে গিয়ে কমিশন তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ‘বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা জনসমক্ষে একটি আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

সাবেক বিচারপতি মাইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশন সম্প্রতি ‘সত্য উদঘাটন’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছে।

প্রতিবেদনে কমিশন জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে এ বিষয়ে একটি জোরালো ইঙ্গিত রয়েছে যে কিছু বন্দি এখনো ভারতের জেলে থাকতে পারেন।

কমিশন জানায়, ‘আমরা পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করছি যে ভারতে এখনো বন্দি অবস্থায় থাকতে পারে, এমন যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিককে যেন খুঁজে বের করতে সাধ্যমতো চেষ্টা করে। বাংলাদেশের সীমানার বাইরে এ বিষয়টি তদন্ত করা কমিশনের এখতিয়ারবহির্ভূত কাজ।’

প্রতিবেদনে উল্লেখিত দুটি বহুল আলোচিত ঘটনা গুমের এই কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হয়েছিল, তা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সরবরাহ করে।

ঘটনা দুটির একটি হলো, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে অপহৃত হয়ে ভারতীয় কারাগারে উপস্থিত হওয়া সুখরঞ্জন বালির ঘটনা এবং অপরটি হলো বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের ঘটনা।

এসব ঘটনার পাশাপাশি হুম্মাম কাদের চৌধুরী জানান, তার কারাগারের বাইরে হিন্দি ভাষায় কথা বলতে শোনা যেত। যেখানে (বাংলান্তর) বলা হচ্ছিল, ‘ওকে কখন ধরা হয়েছে? কোনো তথ্য দিয়েছে কি? এখনো কি জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে?’ ইত্যাদি।

কমিশন জানায়, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের ঘটনা বাংলাদেশ-ভারত বন্দি বিনিময়ব্যবস্থার কিছু কার্যপ্রণালিকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে।

২০১৫ সালে উত্তরায় লুকিয়ে থাকা অবস্থায় আটক হওয়ার পর সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, তাকে একটি পরিত্যক্ত সেলে আটক রাখা হয়েছিল, যেখানে মেঝেতে একটি গর্ত ছিল, যা টয়লেট হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

তাকে দেওয়া কম্বলটিতে ‘টিএফআই’ অক্ষরগুলো লেখা ছিল, যা ‘টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন’-এর ইঙ্গিত বহন করে। তারা জানায়, ওই সময় একমাত্র সক্রিয় টিএফআই কেন্দ্রটি ছিল র‌্যাব গোয়েন্দা শাখার তত্ত্বাবধানে, যা র‌্যাব সদর দপ্তরের অধীনে পরিচালিত হলেও, এটি ঢাকার উত্তরায় র‌্যাব-১ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের একটি প্রাচীরঘেরা স্থাপনার ভেতরে ছিল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টিভিতে আজকের খেলা

টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

২২ ডিসেম্বর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

২২ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে হবে : জোনায়েদ সাকি

গভীর রাতে শীতার্তদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিলেন ইউএনও

জামালপুরে উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

বাকৃবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৬ জানুয়ারি

চাঁদাবাজির মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১০

ধানমন্ডি লেকে চিলড্রেন ওয়াচের পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

১১

ফুলবাড়ীতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার

১২

নিরাপদ মাতৃত্ব ও সুস্থ শৈশবের বার্তা দিতে ময়মনসিংহে ‘ফ্যাক্টস ফর লাইফ’ কর্মশালা

১৩

কালবেলার কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান দিলিপ মজুমদারের মা মারা গেছেন

১৪

ছাত্র আন্দোলনে হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে রাবির ১৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

১৫

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাসের আহ্বান

১৬

কিশোর বয়সে প্রেম ও বিয়ে, অতঃপর যা ঘটল

১৭

বিজিএমইএ প্রশাসকের সাথে নেদারল্যান্ডস রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

১৮

আইএমএফ ঋণের চতুর্থ কিস্তি ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাওয়া যাবে 

১৯

‘ট্রাফিক পুলিশের প্রধান দায়িত্ব হলো নাগরিকদের গন্তব্যে পৌঁছানো’ 

২০
X