রাজধানীর ৩০০ ফিটে বেপরোয়া প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী মোহতাসিম মাসুদ নিহতের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ। এ ঘটনায় মোহতাসিমের দুই বন্ধু অমিত সাহা ও মেহেদী হাসান গুরুতর আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সাইয়েদ আব্দুল্লাহ তার ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেন।
পোস্টে সাইয়েদ আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘রাতের বেলা পূর্বাচলে পুলিশ চেকপোস্টে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল তিন বুয়েট ছাত্র, তাদের পরিচয় যাচাই করছিল পুলিশ। এমন সময় পেছন থেকে এসে বেপরোয়া গতিতে চলতে থাকা এক গাড়ি উঠে যায় ওদের ওপর। গাড়ি নাম্বার ঢাকা মেট্রো-গ ৪৩-০৪৫১। স্পটেই মারা যায় বুয়েট সিএসই ডিপার্টমেন্টের ছাত্র মাসুদ। অন্য দুজন বুয়েট ছাত্রও মারাত্মক আহত হন।
চাপা দেওয়া হয় যে গাড়ির দ্বারা, সেটাতে তিনজন ছিল। ওই তিনজনের ভেতর একজন ছিল সাবেক এক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুনের ছেলে মুবিন আল মামুন, বর্তমানে এ লেভেলে পড়ুয়া ছাত্র। অন্য দুজনের নাম যথাক্রমে মিরাজুল করিম (পিতা রিজওয়ানুল করিম) ও আসিফ চৌধুরী (পিতা বাহাউদ্দিন চৌধুরী)। পুলিশের নথি থেকে দেখা যাচ্ছে, এদের প্রত্যেকের বয়সই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। (একটা অভিযোগ শোনা যাচ্ছে যে, গাড়িটি ড্রাইভ করছিলেন মামুন, তবে এখন পর্যন্ত এই ব্যাপারটা নিশ্চিত হতে পারিনি, সেজন্য কনক্লুসিভ কোনো কথা বললাম না)।’
সাইয়েদ আব্দুল্লাহ আরও লেখেন, ‘ড্রাইভিং কে করছিল– এই আলাপ যদি একটু দূরেও রাখি, অন্য একটা আলোচনা খুবই প্রাসঙ্গিক। একটা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওই গাড়িতে অ্যালকোহলিক আলামত পাওয়া গেছে। কাজেই ধারণা করা হচ্ছে, ওই গাড়িতে যে তিন বন্ধুটাইপ ব্যক্তি ছিল; তারা নেশারত অবস্থায় ছিল এবং ওই অবস্থাতেই গাড়ি ড্রাইভ করা হচ্ছিল। এ সম্ভাবনাটা কিন্তু অবশ্যই শক্তভাবে খতিয়ে দেখা দরকার।’
তিনি লেখেন, ‘ওই গাড়িতে থাকা তিনজনের ডোপটেস্ট করানোটা অত্যন্ত জরুরি এবং সেটা করতে হবে দ্রুততম সময়ের ভেতরেই। পাশাপাশি বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে এই যে একজনকে মেরে ফেলা হলো এবং অন্য দুজনকে মারাত্মক আহত করা হলো, এ ইস্যুতে ন্যায়বিচার কাম্য। কোনো অবস্থাতেই যাতে ধামাচাপা দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত জরুরি।’
মন্তব্য করুন