খাদ্য ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) উদ্যোগে ফুড সিস্টেম ট্রান্সফরমেশনের জন্য একটি জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় জাতীয় কর্মসূচিতে উদ্ভাবনী, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং জলবায়ু-সহনশীল সমাধানকে সংহত করা এবং একসঙ্গে কাজ করে টেকসই, সহনশীল, স্বাস্থ্যকর এবং সমতাভিত্তিক খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে জাতীয় খাদ্য ব্যবস্থা পথনির্দেশনা রচনা করেতে এই সংলাপের আয়োজন করা হয়।
সংলাপে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (আইএফএডি), জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্বব্যাপী অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন এবং অন্যান্য উন্নয়ন ও সুশীল সমাজের অংশীদাররা অংশগ্রহণ করেন।
সরকারি সংস্থা, উন্নয়ন অংশীদার, একাডেমিয়া, নাগরিক সমাজ এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা ৫টি গুরুত্বপূর্ণ কর্মক্ষেত্রের ওপর আলোকপাত করেন, যা খাদ্য ব্যবস্থা রূপান্তরের জন্য অপরিহার্য। ক্ষেত্রগুলো হলো-
১. সকল মানুষের পুষ্টি নিশ্চিতকরণ। ২. প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান। ৩. সমতাভিত্তিক জীবিকা, শোভন কর্ম এবং ক্ষমতায়িত সম্প্রদায়। ৪. দুর্বলতা, আঘাত ও চাপ মোকাবিলায় সহনশীলতা বৃদ্ধি। ৫. বাস্তবায়নের মাধ্যম –সুশাসন।
‘বাংলাদেশে টেকসই, সহনশীল, স্বাস্থ্যকর এবং সমতাভিত্তিক খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর একটি চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ উভয়ই। সকল মানুষের পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান, সমতাভিত্তিক জীবিকা উন্নয়ন, সহনশীলতা বৃদ্ধি এবং কার্যকর শাসন ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে আমরা এমন একটি খাদ্য ব্যবস্থা তৈরি করতে পারি, যা শুধু আমাদের জনগণকে খাদ্য সরবরাহে সক্ষম নয়, বরং এটি পরিবেশগত, সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে টেকসই হবে, মন্তব্য করেন এসডিজিবিষয়ক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিপুষ্টি ইউনিটের গবেষণা পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান; প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান; বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস; আইএফএডির কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. ভ্যালেন্টাইন আচাঞ্চো; গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার এবং এফএও প্রতিনিধি ড. জিয়াওকুন শি।
মন্তব্য করুন