সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তিতে ডিজিটাল অনলাইন লটারির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাউশির মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মোজাক্কার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়- ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মাউশির আওতাধীন ৬৮০টি সরকারি ও ৩ হাজার ১৯৮টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত ১২ থেকে শুরু করে ৩১ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ভর্তি আবেদন গ্রহণ চলে। এই প্রক্রিয়ায় দেশব্যাপী ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য ৬৮০টি সরকারি বিদ্যালয়ে মোট ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬টি শূন্য আসনের বিপরীতে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২টি আবেদন জমা পড়ে।
আর ৩ হাজার ১৯৮টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে মোট ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩টি শূন্য আসনের বিপরীতে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭টি আবেদন গৃহীত হয়। এই আবেদনগুলো থেকে ভর্তির লক্ষ্যে শ্রেণিভিত্তিক বণ্টন কার্যক্রমে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
ফলাফল জানতে : ডিজিটাল লটারির ভর্তির ফলাফল https://gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট এবং টেলিটক মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এসএমএস পদ্ধতি : GSA
https://gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটটি গুগল সার্চ করতে হবে। তারপর সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন-২০২৫ ফলাফল এখানে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পর আবেদনকারীর ইউজার আইডি দিয়ে সার্চ করতে হবে। তাহলেই ফলাফল দেখা যাবে।
একইভাবে বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের ফলাফল এখানে ক্লিক করে জানতে পারবেন। সেক্ষেত্রে উপরক্ত ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এ ছাড়া ওয়েটিং লিস্ট দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
লটারিতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকারি নিয়মে ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী সাধারণ, ক্যাচমেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা, অক্ষম, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিবন্ধী কোটাসহ নিয়মানুযায়ী সব কোটা বিবেচনা করা হয়েছে।
শূন্য আসন থাকা সাপেক্ষে এবং প্রার্থীর স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ক্লাস, শিফট ও পছন্দের ক্রমানুযায়ী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ডিজিটাল অনলাইন লটারি কার্যক্রমে সফটওয়্যারের মাধ্যমে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বাচন করা হয়। মাউশি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এই ডিজিটাল অনলাইন লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী নির্বাচন কার্যক্রমে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন