আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আমি যে ১৫ বছর পর লিখতে পেরেছি এটা আমার স্ত্রীর জন্যই সম্ভব হয়েছে। আমি ওর প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ। সবার সামনে বললাম, ধন্যবাদ।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে নিজের লেখা উপন্যাস ‘আমি আবু বকর’ নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘বঙ্গীয় সাহিত্য সভা’।
তিনি বলেন, আমি মাঝে মাঝে মন খারাপ করে আমার স্ত্রীকে বলি, আমার কি কোনোদিন এই জীবন আসবে যে, কিছু করতে হবে না আমার। কোনো চিন্তা করতে হবে না আমার। আমি শুধু ঘুমাব আর লিখব। তো আমার স্ত্রী বলছে অবশ্যই আসবে। বলছে, আমি কফির দোকান দেব তুমি শুধু লিখবা আর লিখবা।
তিনি আরও বলেন, আমার লেখালেখির মাঝখানে প্রায় ১৫ বছর গ্যাপ ছিল। আমি যে ১৫ বছর পর লিখতে পেরেছি এটা আমার স্ত্রীর জন্যই সম্ভব হয়েছে। আমি তার প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ। সবার সামনে বললাম, ধন্যবাদ।
উপন্যাসটি রচনার প্রেক্ষাপট ও প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরতে গিয়ে ড. আসিফ নজরুল বলেন, গত ১৫ বছরে আমরা যে নারকীয় শাসন সহ্য করেছি, এটার পেছনে আমাদের ‘কালেক্টিভ’ কাপুরুষতা ছিল। জানি না, আমরা কী পাপ করেছিলাম, দেশে শেখ হাসিনার মতো একটা শাসক পেয়েছিলাম। তিনি আমাদের সব সামাজিক সম্পর্ক নষ্ট করে দিয়েছিলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ট্যাগের রাজনীতি দিয়ে মানুষকে ভিক্টিমাইজ করার আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে আমরা ঘৃণা করতাম। সেটা আমরা এখনো করে চলেছি।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সন্দেহ করে নয়, বরং নিশ্চিতভাবে জেনে বুঝেই অনেক ছাত্রকে মিথ্যাভাবে শিবির ট্যাগ দেওয়া হতো।
তিনি বলেন, তারা জানত এ ছেলেটা শিবির না, ছাত্রদল না; তা সত্ত্বেও তার ল্যাপটপটা নেওয়ার জন্য, বিনোদন করার জন্য, নিজেকে আরও বড় লিডার বানানোর জন্য বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করা হতো। গত ১৫ বছরের এসব ব্যাধি থেকে আমরা এখনো মুক্ত হতে পারিনি। শেখ হাসিনার সরকারের দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে আমরা জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে মুক্তি পেয়েছি।
মন্তব্য করুন