কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ পিএম
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শহীদদের স্মরণে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল। ছবি : সংগৃহীত
বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল। ছবি : সংগৃহীত

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সর্বসাধারণের ঢল নেমেছে। এ সময় ফুলেল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছেন।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা শ্রদ্ধা জানানোর পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

এরপর থেকে রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। এ সময় শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাতও করছেন অনেকে।

এর আগে সকাল ৭টা ৫ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও পরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সেখানে কিছু সময় তারা নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

প্রসঙ্গত, নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের শেষলগ্নে পুরো দেশের মানুষ যখন চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা মেতে ওঠে বুদ্ধিজীবী হত্যাযজ্ঞে। বিজয়ের চূড়ান্ত মুহূর্তে বাঙালিকে মেধাশূন্য করার এ নৃশংস নিধনযজ্ঞ সেদিন গোটা জাতিসহ পুরো বিশ্বকেই হতবিহ্বল করে দিয়েছিল। এর দুই দিনের মাথায় ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানি বাহিনী। এর মধ্যদিয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশের।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে ঘাতক চক্র কেবল ঢাকা শহরেই প্রায় দেড়শ বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন পেশার কৃতী মানুষকে চোখ বেঁধে নিয়ে যায় অজ্ঞাত স্থানে। সান্ধ্য আইনের মধ্যে সেই রাতে তালিকা ধরে ধরে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিল্পী-সাহিত্যিক, সংস্কৃতিসেবী ও পদস্থ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হত্যা করে ফেলে রাখা হয় নিস্তব্ধ ভূতুড়ে অন্ধকারে।

পরদিন সকালে ঢাকার মিরপুরের ডোবা-নালা ও রায়েরবাজার ইটখোলাতে বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায় অনেক নিথর দেহ। কারও শরীর বুলেটবিদ্ধ, কারও অমানুষিক নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত। হাত পেছনে বেঁধে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নাড়িভুঁড়িও বের করে ফেলা হয়েছে অনেকের। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে উন্মুখ মানুষ স্বজন হারানোর সেই কালরাত্রির কথা জানতে পেরে শিউরে উঠেছিল। স্থবির হয়ে গিয়েছিল সবকিছু।

হত্যার পূর্বে যে তাদের নির্যাতন করা হয়েছিল, সে তথ্যও বের হয়ে আসে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে প্রকাশিত বুদ্ধিজীবী দিবসের সংকলন, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সাময়িকী নিউজ উইকের সাংবাদিক নিকোলাস টমালিনের রচিত নিবন্ধ থেকে জানা যায় যে, নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা মোট ১ হাজার ৭০ জন।

দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে সরকারিভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছাড়াও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্রে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ করেনি : প্রেস সচিব

বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারীদের এখনো চিহ্নিত করার সুযোগ রয়েছে : গোলাম পরওয়ার 

পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রাবি ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে

‘জাতীয় পার্টির বেশে এসে আ.লীগ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়েছে’

‘দর্শক ভিএফএক্সের প্রশংসা করছে’ 

ভারতকে দেওয়া বিশেষ সুবিধা বাতিল

পুলিশের কাছ থেকে আ. লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল গ্রামবাসী

নোয়াখালী পাসপোর্ট অফিস / দালালদের হয়রানি কমলেও ভোগান্তি পুলিশ ভেরিফিকেশনে

‘নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দিয়ে আমরা সরে যাব’

সাকিবের বোলিং নিষিদ্ধ, খেলতে পারবেন তো ক্রিকেট?

১০

বিজয় দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

১১

কবি হেলাল হাফিজের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

১২

চোর সন্দেহে পিটুনিতে নিহত ২

১৩

‘পতিত স্বৈরশাসক মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের দলীয়করণ করেছিল’

১৪

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি জেএসডির শ্রদ্ধা নিবেদন 

১৫

ভারত থেকে এলো ১৮০ টন পেঁয়াজ

১৬

২০২৬ বিশ্বকাপ ব্রাজিলকে জেতানোর স্বপ্ন দেখছেন নেইমার

১৭

শহীদদের স্মরণে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল

১৮

নতুন সদস্যদের অভ্যর্থনা জানাল এএসিসিএ বাংলাদেশ

১৯

‘কোরআনের কথা বললেও হাসিনা আলেমদের নামে মামলা দিত’

২০
X