বাংলাদেশের ময়মনসিংহ গীরিপুর এলাকায় স্থানীয়দের দ্বারা হিন্দুদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এমনটা দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। বিষয়টি সত্য নয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান (ফ্যাক্ট চেক) রিউমর স্ক্যানার।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে শিশু হত্যার ভিডিও বাংলাদেশে হিন্দুদের বাড়িতে হামলা ও ধর্ষণের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, এই ভিডিওটি বাংলাদেশের ময়মনসিংহের গীরিপুরে স্থানীয়দের দ্বারা হিন্দুদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর কিংবা ধর্ষণের কোনো ঘটনার নয় বরং ভারতের বিহার রাজ্যের পূর্ণিয়া জেলার একই পরিবারের তিন সন্তানসহ মায়ের মৃত্যুর ঘটনার ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে Asad Raza Arn নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ৮ নভেম্বর ‘Kilpara Gaon Pyaji panchayet Jila Purnia Ka hai yeh Hadsha’ শিরোনামের একটি পোস্টে মূল ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়।
হিন্দি ভাষায় দেওয়া ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ণিয়া জেলার পায়াজি পঞ্চায়েতের কিলপাড়া গ্রামে, যেটি ভারতের বিহারে অবস্থিত (অনূদিত)।
এছাড়াও, Md Garib Newar নামের অপর একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও গত ৭ নভেম্বর ‘Kilpara Purnia Bihar’ শিরোনামে প্রকাশিত একই ঘটনার আরেকটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির শিরোনামে দেওয়া তথ্য থেকেও উক্ত ঘটনার বিষয়ে একই তথ্য জানা যায়।
পরবর্তীতে BC 24 News নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ৭ নভেম্বর প্রকাশিত উক্ত ঘটনা নিয়ে একটি প্রতিবেদনের ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে উল্লেখিত বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, একই পরিবারের মা ও তিন সন্তানের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি বিহারের রাউতা থানার কিলপাড়া গ্রামের।
তাছাড়া, ভারতীয় গণমাধ্যম প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে গত ৭ নভেম্বর ‘Bihar: Bodies of woman, three children found hanging inside hut’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও উক্ত ঘটনার বিষয়ে একই তথ্য জানা যায়।
সুতরাং, ভারতের বিহারের ভিন্ন ঘটনার ভিডিওকে বাংলাদেশে হিন্দুদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও ধর্ষণের দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
মন্তব্য করুন