রাজধানীতে শীতের আমেজ থাকলেও জেঁকে বসেনি। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। বিশেষ করে রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় অঞ্চলে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। এরই মধ্যে আবহাওয়া অফিস দুঃসংবাদ দিয়েছে। সংস্থাটির দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে চলতি মাসেই দুটি লঘুচাপ, একটি ঘূর্ণিঝড় এবং দ্বিতীয়ার্ধে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা লঘুচাপটি বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তর-উত্তরপূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়বে। বৃহস্পতিবারও আবহাওয়া একই রকম থাকবে।
আগামী শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের কোথাও মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়বে।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে এবং জানুয়ারিতে ঠান্ডা সবচেয়ে বেশি অনুভূত হবে। তবে আগামী ১০ দিন শীতের প্রকোপ বেশি থাকার আভাস পাওয়া গেলেও শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা দেখা যায়নি। আবহাওয়া প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহ আসতেও পারে তবে সেটি উত্তরবঙ্গেই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, এ সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহ না হলেও শৈত্যপ্রবাহের মতো তাপমাত্রা অনুভূত হতে পারে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের খুব কাছাকাছি দেখা গেছে।
তিনি আরও বলেন, শৈত্যপ্রবাহ বলতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া এবং একটানা কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করা বুঝায়। যদি তাপমাত্রা ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায় তখন তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বিবেচনা করা হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, ডিসেম্বর মাসে দেশে দুটি লঘুচাপ এবং একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। মাসের দ্বিতীয়ার্ধে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে, যা দেশের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি তীব্রতার হতে পারে।
এ ছাড়া, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে এবং চলতি মাসে শীতের প্রকোপও আরও বাড়তে পারে, বিশেষ করে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে।
মন্তব্য করুন