তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের পদ্ধতিগতভাবে টার্গেট করা বা এই ধরনের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থনের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং এ ধরনের বিদ্বেষ ছড়ানোর দাবি আমরা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করি। তিনি বলেন, ইচ্ছাকৃত বিকৃত প্রচারগুলো গ্রহণ না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানাই।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ নিজের ভেরিফাইড পেজে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গণহত্যা’র মতো শব্দ শুধু মিথ্যা নয়; এটা বিভাজন এবং অশান্তি উসকে দেওয়ার বেপরোয়া পরিকল্পনার অংশ। এই ভিত্তিহীন অভিযোগ ইতোমধ্যে সহিংসতাকে উসকে দিয়েছে, যার মধ্যে ২ ডিসেম্বর ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা অন্যতম।
তিনি আরও বলেন, ইচ্ছাকৃত বিকৃত প্রচারগুলো গ্রহণ না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানাই। কারা এই প্রচার করছে, কি উদ্দেশ্যে করছে এবং সত্যটা কি তা জানার জন্য আমরা বিবিসির ‘The far-right videos distorting the truth of Bangladesh minority attacks’ এবং নেত্র নিউজের ‘Claims of sectarian motives in nine Hindu deaths falter under scrutiny’-এর মতো অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলো দেখার অনুরোধ করছি।
এই প্রতিবেদনগুলো প্রকৃত সত্য উন্মোচন করেছে এবং সহিংসতার প্রকৃত প্ররোচনাকারীদের চিহ্নিত করেছে। এসব প্রতিবেদনে উঠে এসেছে প্ররোচনাকারীরা বাংলাদেশের প্রাক্তন পতিত শাসকগোষ্ঠীর কর্মী-সমর্থক। তাদের কর্মীরা জুলাই-আগস্টের বিদ্রোহের সময় ব্যাপক বর্বরতা সংঘটিত করেছিল, যার ফলে হাজার হাজার মৃত্যু ও আহত হয়েছিল।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করছেন এমন সব স্বাধীন সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানাই। আপনারা বাংলাদেশে আসুন এবং স্বাধীনভাবে তদন্ত করে দেখুন, এরপর নির্ভুলভাবে আপনাদের রিপোর্ট তৈরি করুন। আমরা মনে করি, সত্য উদঘাটন এবং মিথ্যা আখ্যানকে চ্যালেঞ্জ করে ভুল তথ্য প্রতিরোধ এবং বোঝাপড়া বৃদ্ধির জন্য প্রমাণ-ভিত্তিক সাংবাদিকতা অপরিহার্য।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমাদের সরকার স্বচ্ছতা, ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার এবং মর্যাদা রক্ষা করতে থাকব, আইনের শাসন বজায় রাখব এবং আমাদের বৈচিত্র্য আমাদের শক্তি জোগাবে। আমরা একটি ন্যায্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে যাব।
মন্তব্য করুন