বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ বলেছেন, আমাদের কাছে পিঠা শুধু একটি খাবার নয়, এটি রন্ধন শিল্প, ঐতিহ্য এবং আনন্দের সংমিশ্রণ আর উদযাপনের প্রতীক। খাদ্যরসিক বাঙালি প্রাচীনকাল থেকে প্রধান খাদ্যের পরিপূরক মুখরোচক অনেক খাবার তৈরি করে আসছে। এর মাঝে পিঠা সর্বাধিক গুরুত্বের দাবিদার। শুধু খাবার হিসেবেই নয় বরং লোকজ ঐতিহ্য এবং নারীসমাজের শিল্প নৈপুণ্যের স্মারকরূপেও পিঠা বিবেচিত হয়।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ের পর্যটন ক্যাফেটেরিয়াতে ‘বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন’ আয়োজিত ‘পিঠা উৎসবের’ উদ্বোধনকালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
রোববার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, যান্ত্রিক সভ্যতার এই ইট-কাঠের নগরীতে হারিয়ে যেতে বসেছে পিঠার ঐতিহ্য। সময়ের স্রোত গড়িয়ে লোকজ এই শিল্প আবহমান বাংলার অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠলেও এ যুগে সামাজিকতার ক্ষেত্রে পিঠার প্রচলন অনেকটাই কমে এসেছে।
মুখরোচক খাবার হিসেবে পিঠার স্বাদগ্রহণ ও নতুন প্রজন্মের কাছে পিঠাকে আরও পরিচিত করে তুলতে ‘পিঠা উৎসব’ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব নাসরীন জাহান, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানাসহ মন্ত্রণালয় ও করপোরেশনের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
৩ দিনব্যাপী এ উৎসবে নানা ধরনের পিঠার স্বাদ স্বল্পমূল্যে গ্রহণ করা যাবে।
মন্তব্য করুন